নিউজ ডেস্ক: কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্যের প্রয়োজন। প্রয়াত তথা তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে এমনটাই জানালেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর আইন বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি(NLSIU)এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি। সেখানে হঠাৎ করে তাঁর মৃত স্ত্রী’র প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, “আমার প্রয়াত স্ত্রী একটি ল ফার্মে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, কতক্ষণ কাজ করতে হবে। সেই সময় বলা হয়, ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা করে তাঁকে কাজ করতে হবে।” পাশাপাশি, পরিবারের সঙ্গে কাটানোর মতো সময় না পাওয়ারও কথা বলা হয় বলে জানান প্রধান বিচারপতি। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ওই ফার্মে তাঁকে একজন স্বামীকে খোঁজার পরামর্শ দেওয়া হয় যে কিনা বাড়ির সমস্ত কাজ সমলাবেন।” তবে তিনি আশাবাদী যে এখন পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। উল্লেখ্য প্রধান বিচারপতির ঘনিষ্ঠ মহলের একজনের দাবি, এদিনের তাঁর বক্তব্য লিখিত ভাষণে ছিল না। ওটা তিনি নিজে থেকেই বলেছিলেন।
আসলে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ সকলের জন্যে সমান হওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্যে আলাদা পরিবেশে তিনি বিশ্বাস করেন না বলে এদিন জানান। নারীদের সমান অধিকার, সমাজের ভেদাভেদের ঘটনার নিন্দার কথাও উঠে আসে চন্দ্রচূড়ের বক্তব্যে। আর যেহেতু তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে এধরণের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই দেশের পড়ুয়াদের সঙ্গে উদাহরণ স্বরূপ সেকথা বোঝাতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি।