নিউজ ডেস্ক: ২৮ অগাস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। কলকাতার
একটি অনুষ্ঠানগৃহে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর
মধ্যে সোমবার হাতাহাতি হয়। অধীর চক্রবর্তী বনাম কৌস্তভ বাগচীর গোষ্ঠীর মধ্যে এদিন রীতিমত
মারামারি বেঁধে যায়। কৌস্তভ বাগচীকে এদিন ঢুকতে বাধা দেয় এক দল কংগ্রেস কর্মী। অনুষ্ঠান
গৃহে যেখানে সভা চলছিল সেখানেও রীতিমত স্লোগান দেওয়া হয় অপর পক্ষকে উদ্দেশ্যে করে।
এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ কৌস্তভ বাগচী ও তার অনুগামীরা। এদিন
কৌস্তভ বাগচী বলেন, “দলের ভেতর দিনের পর দিন এই অপমান চলতে পারে না। দলের থেকে আমাকে
তাড়ানোর জন্য। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য এই অপমান করা হয়েছে। তৃণমূলের কিছু
দালাল কংগ্রেসের আছে। আমি যতদিন আছে ততদিন এটা চলতে দেব না। কংগ্রেস কর্মীদের কাছে
এর বিচার চাইব। যারা নীতি আদর্শ মেনে এই দল করে তারা এই কাজ করতে পারে না। নেতাদের
দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যারা করেছে তারা দলের ভাল চায় না”। তাহলে কি এতদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে
বলে ভুল করেছিলেন এবং বিজেপিতে যাবার ভাবনা আছে কি? উত্তরে কৌস্তভ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর
চেয়ার থেকে তৃণমূল নেত্রীকে যতক্ষণ নামাতে পারছি না আমার লড়াই চলবে। এখনই কোথায় যাব, কি করব সেই জল্পনা না করাই ভাল”।
প্রসঙ্গত কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের
ইতিহাস বেশ পুরো। দলীয় অনুষ্ঠানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি, মারামারির ঘটনার রেওয়াজ রয়েছে। জানা যায় যখন কংগ্রেস এই রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল তখনও
অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হত। সেই ঘটনার সাক্ষী প্রদীপ
ভট্টাচার্যের মত বর্ষীয়ান নেতারা। চার দশক পেরিয়ে সেই রেওয়াজ আজও পাল্টায়নি। তবে চৌধুরী এদিনের ঘটনা প্রসংগ এড়িয়ে যান। তিনি
বলেন, “ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠান। ডেকেছিল তাই
এসেছি। কি হয়েছে জানি না। তবে দত্তপুকুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এদিন সুর
চড়ান বহরমপুরের সাংসদ ।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের ঢিলাঢালা
মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন আইনজীবী তথা কংগ্রেসের তরুণ নেতা কৌস্তভ বাগচী।
দলের অন্তরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই তিনি সমালোচনায় সরব হয়েছেন। জোটে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমুলের সহাবস্থানের
বিরোধিতা করেন তিনি। তবে এদিনের ঘটনা এখানেই থামার নয় তা স্পষ্ট করে দেন কৌস্তভ।