নিউজ ডেস্ক: BRICS-এ শান্তি ফেরানোর কথা বলার পর ফের ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল চিন। সোমবার ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ’-এর নতুন সংস্করণে দেশটি অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনের বিতর্কিত অঞ্চলগুলিকে নিজেদের বলে দাবি করে। সেই সঙ্গে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরকেও নিজেদের অংশ বলে দাবি করে ড্রাগন। যদিও বিষয়টি সামনে আসার পর তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত জানিয়ে দেয়, অরুণাচল ভারতের অংশ ছিল, আছে, থাকবে। এর আগেও এইরকম ঘৃণ্য কূটনীতি করেছে চিন। তবে দীর্ঘদিন বাদে মোদী-জিংপিং সাক্ষাতের পর সীমান্ত সমস্যা নিয়ে যে ইতিবাচক ধারণা করা গিয়েছিল, তাতে জল ঢেলে ফের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উত্তপ্ত করে দিল চিনের নোংরা রাজনীতি।
উল্লেখ্য, দিনকয় আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় BRICS সম্মেলনে ভারতের পাশপাশি সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে শান্তি ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন জিংপিং। কিন্তু চিন যে ৬২-র বিশ্বাসঘাতকতার নীতিতেই চলেছে তা ফের হলো প্রমাণিত। ব্রিকস-এ ইতিবাচক কথা বলার পর সম্মেলনের পরই রঙ বদলে ড্রাগন দাবি করে, ভারতের তরফ থেকে নাকি জিংপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আবেদন জানানো হয়েছিল। এই কারণেই ব্রিকস-এ মোদীর সঙ্গে কথা বলেন জিংপিং।
কিন্তু চিনা বিদেশমন্ত্রকের এই বিবৃতি প্রকাশের পরই চিনের বেলুন ফুটো করে ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানায়, ভারত নয়, বরং চিনই বহুদিন ধরে ভারত সরকারের কাছে মোদীর সঙ্গে জিংপিংয়ের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ চেয়ে আর্জি জানিয়ে এসেছিল। ভারতের বিবৃতির পর যদিও পালটা বিবৃতি দিতে সাহস করেনি ড্রাগন। তা বলে বদলায়নি নিজেদের স্বভাবকেও। ফের ভারতের ভূখণ্ডকে নিজেদের মানচিত্রে চিহ্নিত করে আগুনে ঘি ঢালল জিংপিংয়ের দেশ।