নিউজ ডেস্ক: ধোপে টিকল না তৃণমূল। শুভেন্দু-দিব্যেন্দুর উপস্থিতিতে নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী
সমিতিতে একচেটিয়া জয় পেল বিজেপি। তৃণমূল
ও বিজেপি উভয় পক্ষের আসন সংখ্যা ছিল ১৫টি করে। কিন্তু স্থায়ী
সমিতির বোর্ড গঠনে অংশ নিয়ে সব হিসেব নিকেশ বদলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক
শুভেন্দু অধিকারী ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
ভোটাভুটিতে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতিগুলি
একচেটিয়া ভাবে দখলে রাখল বিজেপি। তবে দিব্যেন্দু কোথায় ভোট দিয়েছেন সেই বিষয়ে
প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চাননি। এর আগে বোর্ড গঠনে লটারির মাধ্যমে সভাপতির পদটি
ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। আর আজ সবকটি স্থায়ী সমিতিতেই বিজেপির জয়জয়কার হল। সমিতি
দখলের পর শুভেন্দুর উক্তি, “আমার সঙ্গে লড়তে গেলে দম
লাগে”।
জানা গেছে ভোটাভুটি চলাকালীন তৃণমূলের এক
সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘাসফুল শিবির ভোট বাতিলের দাবী জানায়। কিন্তু সেই দাবী
মানতে রাজি হয়নি বিজেপি। এরপরেই স্থায়ী সমিতি গঠনের ভোটাভুটি
বয়কট করে বেরিয়ে আসেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা নন্দীগ্রাম ১ ব্লক অফিসের বাইরে
রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে এতেও স্থায়ী সমিতি
গঠনে কোনও প্রভাব পড়েনি। কিছু সময় বাদেই শুভেন্দু অধিকারী বাইরে এসে জানিয়ে দেন,
তাঁরাই সবকটি সমিতি দখলে রেখেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে আইনানুগ
ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে।
এদিন নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী
সমিতি গঠন ঘিরে ছিল চাপা উত্তেজনা। ব্লক অফিস চত্বরে জারি হয় ১৪৪ ধারা। নিয়ম অনুযায়ী
পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনে অংশ নেন সমিতির জয়ী সদস্যরা। সেই সঙ্গে
পঞ্চায়েতগুলির প্রধান এবং এলাকার বিধায়ক ও সাংসদ এই ভোটাভুটিতে ভাগ নেন। সেই মতোই
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ পঞ্চায়েত সমিতিতে হাজির হন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কিছু সময়
বাদেই দল বেঁধে গাড়িতে করে আসেন বিজেপির জন প্রতিনিধিরা। সমিতির অফিসে আসেন সাংসদ
দিব্যেন্দু ও বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই জয়ে বিজেপি কর্মীদের মনোবল
অনেকটাই বাড়বে বল মনে করা হচ্ছে।