নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জেনেরিক মেডিসিনের নাম প্রেসক্রিপশনে না লিখলে চিকিৎসকদের লাইসেন্স বাতিল করার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার দেশবাসীর চিকিৎসার সুবিদার্থে নয়া ঘোষণা করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের সরকার। দেশীয় ওষুধ তৈরি এবং চিকিৎসার জন্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দেশীয়ভাবে বানাতে আগামী ৫ বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
বিরল রোগের চিকিৎসায় বিদেশি দামী ওষুধের নির্ভরতা কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। তাঁর কথায়, “ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার প্রয়োজন রয়েছে। সেকারণে এই যোজনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। ৫ বছরের মধ্যে এই লক্ষ্যে পৌঁছবে ভারত। এর জন্যে টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে।”
বর্তমানে গোটা বিশ্বে উৎপাদিত ওষুধের চার ভাগের এক ভাগ তৈরি হয় ভারতে। বিভিন্ন জীবনদায়ী কিংবা বিরল রোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ তাই অনেক বেশি টাকায় বিদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিতে কিনতে হয়। এদিক, বিরল রোগের ওষুধের চাহিদা বিশেষ না থাকায় এধরণের ওষুধ বানাতে আগ্রহ দেখায় না দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।
আবার ডেঙ্গি, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়ার মতো রোগে ভারতে প্রতি বছর কয়েকশো লোক মারা গেলেও, তা নিয়ে গবেষণায় কোনও আগ্রহ দেখায় না বিদেশি সংস্থাগুলি। ফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জানান, দু’দিকের এই চাহিদা-জোগানের পার্থক্য মেটাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।