নিউজ ডেস্ক: উন্নত নজরদারি বিমান, মিসাইল, যুদ্ধবিমান! রীতিমতো ‘লৌহবর্মে’ মুড়ে ফেলা হবে রাজধানীর আকাশ। জি২০ বৈঠকের(G20 Summit) আগে দিল্লির নিরাপত্তা নিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক। এককথায় পুরো আকাশসীমাকে দুর্ভেদ্য করে তুলতে প্রস্তুত বায়ুসেনা।
বায়ুসেনা সূত্রের খবর, সম্মেলন চলাকালীন দিল্লির আকাশে ড্রোন বা বিমান হামলা রুখতে অত্যাধুনিক রুশ যুদ্ধবিমান রাফালে মোতায়েন করতে চলেছে ভারত। সঙ্গে থাকবে সুখোই যুদ্ধবিমান এবং কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম। যেকোনও অনুপ্রবেশকারী বিমান ধ্বংস করতে মোতায়েন করা হবে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ‘আকাশ’(Akash) এবং মিডিয়াম রেঞ্জ সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম(MRSAM)। এখানেই শেষ নয়। হাইভোল্টেজ এই বৈঠকে রাজধানীর আকাশে কড়া নজরদারি চালানোর জন্যে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নজরদারি বিমান ‘নেত্র’(NETRA)কেও মোতায়েন করতে চলেছে বায়ুসেনা।
রাজধানীর নিকটবর্তী হিন্দন, আম্বালা, ভাতিন্দা, আদমপুর এবং সিরসা-এর বায়ুসেনা ঘাটিগুলিকে সজাগ থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনার তরফে। দিল্লি এবং তার আশেপাশের অঞ্চলের দায়িত্ব বর্তেছে ওয়েস্টার্ন এবং সাউথ ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডার হাতে।
আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লির প্রগতি ময়দানে স্থিত আইটিপিও(ITPO) কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবারের জি২০ বৈঠক। বৈঠকে যোগদানের জন্যে ভারতে আসছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা। আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আবার বৈঠকে আসার কথা রয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বদলে বৈঠকে যোগদানের জন্যে আসছেন তাঁর বিদেশমন্ত্রী সার্গেয় লাভরোভ। অর্থাৎ জি২০-এর মঞ্চে একই সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির প্রতিনিধিরা।
এই পরিস্থিতিতে জঙ্গিদের নিশানায় হাইভোল্টেজ এই বৈঠক, তা বলাই বাহুল্য। স্বাভাবিকভাবে তাই নিরাপত্তায় কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ইতিমধ্যেই ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার।