নিউজ ডেস্ক: গোষ্ঠী কোন্দলের কারনে গঠন হচ্ছে
না কাঁঠালবেরিয়া পঞ্চায়েত বোর্ড। বাসন্তীতে
মোট ১৩ টি পঞ্চায়েত আছে, ১৩ টি পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাতে
থাকলেও ১ টি পঞ্চায়েত গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে গঠন করতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান কে হবেন তা নিয়েই জেরবার তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল সবচেয়ে চরমে বাসন্তী বিধানসভায়। গোষ্ঠী
কোন্দলের জেরে আগেই প্রাণ গেছে একাধিক তৃণমূল কর্মীর। তৃণমূলের
একাংশের দাবি, “পঞ্চায়েত ভোট হয়ে যাওয়ার পরেও
এলাকায় গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে পারেনি তৃণমূল। যুব ও মাদার তৃণমূল কর্মীদের
মধ্যে ক্ষমতা কাদের হাতের থাকবে তা নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বোর্ড গঠন
না হওয়ার কারণে নিত্যদিন ভুগছে সাধারণ
মানুষ। বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। অঞ্চলে সে ভাবে কোন কাজ হচ্ছে না দাবি
বাসিন্দাদের। জানা গেছে সরকারি অফিসাররা আসেন এবং
খাতায় সই করে ফিরে চলে যান। পঞ্চায়েত গঠন না
হওয়ার কারণে কেউ পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট
পাচ্ছে না ।
তৃণমূল
নেতা রাজা গাজীর দাবী, “প্রশাসনের কাছে অনেক খবর রয়েছে এখানে অশান্তি হতে পারে বোর্ড
গঠনের সময়। তাই প্রশাসনের তরফ থেকে
কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েত গঠনের একটু সমস্যা আছে”। যুব তৃণমূল
নেতা আমানুল্লাহ লস্কর বলেন, “প্রশাসনের
দিক দিয়ে একটু সমস্যা আছে। সেটা মিটে গেলে পঞ্চায়েত গঠন
হয়ে যাবে। কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ২৬। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ১৮। নির্দলের সংখ্যা ৮। দল যেটা ভালো মনে করবে সেটাই হবে”।
তার আরও অভিযোগ, “নির্দলরা রাজা গাজির অনুগামী। মন্টু গাজী সহ বেশ কয়েকজন দলের নির্দেশ না মেনে
নির্দল প্রার্থী দিয়েছিল”।
কাঁঠালবেরিয়া পঞ্চায়েতের এক
সদস্যের অবশ্য দাবি পঞ্চায়েতে যে কাজগুলো হওয়ার কথা সেগুলি ঢিমেতালে হচ্ছে। প্রধান ছাড়া
অনেক কাজে সমস্যা হচ্ছে। এখন অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে কবে পঞ্চায়েত গঠন
হয়।