নিউজ ডেস্ক: রাখির সুতো শুধু ভাই-বোনই নয়, সম্পর্কের সুতোতেও বাঁধে দুটি মানুষকে। আর তাই তো বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলনের সময় রাখি উৎসব চালু করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এইবার সেই কথাকেই মাথায় রেখে নিজের কোচিং সেন্টারে রাখি উৎসবের আয়োজন করেছিলেন অনলাইন কোচিংয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক খান স্যার। কোচিং সেন্টারে তো বটেই অনলাইনেও তাঁর পড়ুয়া সংখ্যা হাজার হাজার। বুধবার তাঁর কোচিং সেন্টারের বাইরে লম্বা লাইন লেগে গিয়েছিল। বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়া জড়ো হয়েছিল খান স্যারের কোচিং সেন্টারের বাইরে। ওই দিন প্রায় সাত হাজার ছাত্রী রাখি পড়িয়েছেন তাঁকে।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, যেহেতু তাঁর নিজের কোনো বোন নেই তাই ছাত্রীদের নিজের বোনের মতই মনে করেন তিনি। খান স্যার আরো বলেন এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে আগে কখনো ঘটেনি। সম্ভবত তিনিই রাখি পড়ায় বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছেন। রাখি উৎসবের জেরে মারাত্মক ভিড় হয়েছিল তাঁর কোচিং সেন্টারের সামনে। তাই আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে রাখি পরানো। এত রাখি পরে অভিভূত তিনি।
রাখি পূর্ণিমার দিন খান স্যারের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তা বাস্তবিক অর্থেই চমকে দেওয়ার মতো। ডান হাত জুড়ে রাখির পাহাড় খান স্যারের। ছাত্রীরাও তাঁকে সেরা দাদা বলেই মানেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁর শুধু শিক্ষকের সম্পর্কই নয় বরং আত্মিক সম্পর্কও গড়ে উঠেছে যা ছাত্র-ছাত্রীদের হাসিমুখ দেখলেই বোঝা যায়। তাঁকে সেরা শিক্ষক বলেও মনে করেন পড়ুয়ারা। অন্যদিকে একটি টক শো-তে খান স্যার বলেছিলেন যে শুধুমাত্র উপার্জনের জন্য পড়ান না তিনি। কোনো ছাত্র-ছাত্রী টাকার জন্য শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থেকে যাবেন এমনটা কখনোই চান না তিনি। তাই কেউ পড়তে চাইলে আর্থিক অসুবিধার জেরে টিউশন ফি না দিতে পারলেও ফিরে যেতে হয় না খান স্যারের কোচিং থেকে।