নিউজ ডেস্ক: থাইরয়েড অসুখ এখন প্রায় প্রতি ঘরের সমস্যা। খাওয়া-দাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন এর জন্য অনেকটা দায়ী। থাইরয়েড গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরে দেখা দেয় রোগটি। যেহেতু থাইরয়েড গ্ল্যান্ড শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাই এই রোগ শরীরের উপর একাধিক প্রভাব ফেলে। চুল পড়তে থাকা, হতাশা তৈরি হওয়া, রোগা বা মোটা হয়ে যাওয়া, শরীরের উষ্ণতা কমে যাওয়া এই রোগের লক্ষণ। থাইরয়েডে আক্রান্ত হলে অবশ্যই রক্তপরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলা বাঞ্ছনীয়। তবে এই সময়ে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললে শরীরের যত্ন নেওয়া সম্ভব।
প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার: শাক-সবজি, বাদাম, মাছ-মাংস ইত্যাদি উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খাবার ও আপেল, আনারস, খেজুরের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত ফলমূল খাওয়া উপকারী।
প্রচুর পরিমাণে জল পান: থাইরয়েডে যারা ভুগছেন তাঁদের প্রচুর পরিমাণে জল পান করা প্রয়োজন। এতে লিভার কিডনি দুইই ভালো থাকে। তবে যে কোনওরকম জল পান করা ঠিক নয়। ফুটিয়ে খাওয়া না তো ডিস্টিল ওয়াটার খাওয়া উচিত।
যোগব্যায়াম এবং হাঁটাহাঁটি: বিশেষজ্ঞরা ওষুধপত্রের চেয়ে নিয়মিত যোগব্যায়ামকে থাইরয়েডের চিরতরে মুক্তির জন্য অধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে নিয়মিত দিনে অন্তত একবেলা হাঁটাহাঁটি করলে মেটাবলিক রেট বেড়ে পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ওষুধ নেওয়া ও চিকিৎসা: চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাইরয়েডের নির্দিষ্ট ওষুধ নেওয়া আবশ্যিক। এমনকি প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর থাইরয়েড টেস্ট করানোর পর চিকিৎসকে সেই রিপোর্ট সম্পর্কে অবগত করানোও কর্তব্য।
এই নিয়মগুলি মেনে চলার পাশাপাশি চর্বিজাতীয় খাবার, ধূমপান-মদপান, ফার্স্ট ফুড ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়াও উচিত। কারণ এইসব জিনিস থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে।