নিউজ ডেস্ক: তবে কী মিটল জোটের ঘোট! মুম্বইয়ে তিনদিনের ম্যারাথন বৈঠকের পর শুক্রবার দুপুরে অবশেষে ১৩ জনের কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করল বিজেপি বিরোধী ২৮টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’(I.N.D.I.A)। দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। ’২৪-এর নির্বাচনের বিভিন্ন কর্মসূচি ও দৈনিক বিভিন্ন কাজকর্ম পরিচালনা করবে এই কমিটি। যদিও এই কমিটিতে নেই রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জোটের নীতিনির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন এই সমস্ত নেতারাই।
কে কে আছেন এই কমিটিতে? জানা গিয়েছে, ১৩ জনের সমন্বয় কমিটিতে রয়েছেন শরদ পওয়ার(এনসিপি), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(টিএমসি), কেসি বেণুগোপাল(কংগ্রেস), এমকে স্ট্যালিন(ডিএমকে), তেজস্বী যাদব(আরজেডি), হেমন্ত সোরেন(জেএমএম), মেহবুবা মুফতি(পিডিপি), ওমর আবদুল্লা(ন্যাশনাল কনফারেন্স), সঞ্জয় রাউত(শিবসেনা-উদ্ধব), লালন সিং(জেডিইউ), জাভেদ আলি খান(সমাজবাদী পার্টি), ডি রাজা(সিপিআই) এবং রাঘব চড্ডা(আপ)। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমিটিতে নেই সিপিএমের কোনও নেতা।
গত ২৩ জুন পাটনায় ১৭টি বিরোধী দলের প্রথম বৈঠক হয়। ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে জোটের শরিকিদের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৬ হয়। সেই সঙ্গে, জোটের নাম দেওয়া হয় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স(I.N.D.I.A)। শুক্রবার এই জোটের আনুষ্ঠানিক স্লোগানও ঘোষিত হয়েছে-‘জুড়েগা ভারত, জিতেগা ইন্ডিয়া’। কিন্তু এত জাঁকজমক সত্ত্বেও জোটের প্রতীকী এবং আসন বন্টন নিয়ে তৃতীয় বৈঠকের পরও মেলেনি কোনও সমাধান।
আর মিলবেই বা কী করে! ‘মুম্বইয়ে দোস্তি, রাজ্যে কুস্তি’ মনোভাব নিয়ে চলছে একাধিক আঞ্চলিক দল। তার মধ্যে অন্যতম হল পশ্চিমবঙ্গ। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরোধিতায় রাহুল, মমতা, ইয়েচুরির মধ্যে ‘বন্ধুত্ব’এর ছবি ধরা পড়লেও, বাংলায় সম্পূর্ণ উল্টো ছবি। তৃণমূলকে পরাস্ত করতে সুর চড়াচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেস। সুতরাং, এ রাজ্যে প্রশ্নের মুখে তিনদলের আসন বন্টন প্রক্রিয়া। অবশ্য দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রচেষ্টায় ঘোট বাধতে গিয়েও বাধেনি।
অন্যদিকে আবার লোগো নিয়েও শুরু হয়েছেন তুমুল বিতর্ক। প্রতিটি আঞ্চলিক দলের নিজস্ব পরিচিতি রয়েছে। ফলে একটিমাত্র প্রতীক নির্বাচন করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রতীকের কী ট্যাগলাইন লেখা হবে, তা নিয়ে এদিনের বৈঠকের শুরুতেই মতানৈক্য তৈরি হয়। অবশেষে লোগো উন্মোচন স্থগিত করে দেয় ‘ইন্ডিয়া’। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের দাবি, সবমিলিয়ে ’২৪-এর নির্বাচনে এই জোট কতটা সফল হবে? তা নিয়ে এখনও রয়েছে বিস্তর অনিশ্চিয়তা।