নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের মর্মান্তিক ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখনও অব্যাহত পরস্পর দড়ি টানাটানি। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো নিয়ে নতুন করে তৈরি হলো বিতর্ক। গতকাল সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সব পক্ষকে। বৈঠকে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী, গবেষক, সাধারণ পড়ুয়া এবং ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই তাদের সঙ্গে কথা বলে ক্যামেরা বসাতে হবে বলে দাবি তুললেন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, ছাত্র সংগঠনগুলির এই দাবিকে ‘আজব’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ক্যাম্পাসের কোথায় কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসালে নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত হবে, তা ঠিক করবে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন। এর মধ্যে পড়ুয়া, শিক্ষক বা কোনও সংগঠনের নাক গলানোর প্রয়োজন দেখতে পারছেন না তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি নস্যাৎ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে দিনকয়েকের ভিতরেই জানিয়ে দেওয়া হবে সিসিটিভি বসানো নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত।
এদিকে, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে মতানৈক্য দেখা গেছে বাম ও অতিবাম ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যেই। অতিবাম ছাত্র সংগঠনগুলি যেখানে প্রকাশ্যে ক্যামেরা লাগানোর বিরোধিতা করে এসেছে এ পর্যন্ত, সেখানে বাম ছাত্র সংগঠন SFI অবশ্য পরিষ্কার জানিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে বিরোধিতা নেই তাদের। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ক্যামেরা বসানোর দাবি করেছে SFI। SFI সোনারপুর শাখার সহ-সভাপতি সুমিত দলুই আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন,’ আমরা সিসিটিভি লাগানোর বিরোধিতা করি নি। তবে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ যদি সব পক্ষকে ডেকে কোথায় কোথায় ক্যামেরা লাগানো হবে তা নিয়ে আলোচনা করে, সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত SFI।’
আবার ক্যামেরা বসানো নিয়ে ভিন্ন সুর দেখা গেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গলায়। যাদবপুরের TMCP ইউনিটের সভাপতি রাজন্যা হালদার জানান, কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে সেটা কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কোনও আইনে লেখা নেই এটা নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে বিদ্যার্থী পরিষদও দ্রুত সিসিটিভি বসানোর দাবি জানিয়েছে। ক্যাম্পাসের যে সব এলাকায় নেশা-সহ অনৈতিক কাজকর্ম হয়ে থাকে সেই এলাকাগুলি চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।