নিউজ ডেস্ক: পাঠ্যপুস্তকে এক চোরের গল্প সকলেরই মন ছুঁয়ে গিয়েছিল কিশোর বয়সে। সেই চোর আর কেউ নন, জিমি ভ্যালেন্টাইন! তাঁর হাতে খোলে না এমন কোনো তালা ছিল না। সকল ব্যাঙ্ক মালিকদের ত্রাস ছিলেন তিনি। নিজের বানানো ধারালো অস্ত্র দিয়ে লকার কাটতেন এমন ভাবে ঠিক যেন মাখনের উপর ছুরি চালাচ্ছেন। তবে সব চোর যে জিমি হবেন তার তো কোনো কথা নেই। তাই সকলের হাতে লকারও খোলে না। এমনই এক লকার ‘না’ ভাঙার ঘটনা ঘটেছে তেলেঙ্গানার এক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখায়। তবে পরাস্ত হয়েও প্রশংসা করতে ভোলেনি রসিক চোর মহাশয়।
ব্যাঙ্ক ডাকাতি করার ফন্দি এঁটে রেইকি করে ছক কষা সারা হয়ে গিয়েছিল। সময় মতো ব্যাঙ্কে ঢুকেও পড়ে চোর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার্যসিদ্ধি হয়নি। এত কসরত করার পরেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তবে আশাহত হলেও এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ব্যাঙ্ককর্মীদের চিঠি লিখে যায় সে। তাতে ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। সেই চিঠিতে লেখা ছিল যে, ‘ভাল ব্যাঙ্ক, এক টাকাও হাতাতে পারিনি। আমার আঙুলের ছাপ পাবেন না, তাই আমায় খোঁজার চেষ্টারও দরকার নেই।’ এই চিঠি পাওয়ার পরে হতবাক হয়ে যায় ব্যাঙ্ক কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয় তাঁরা।
জানা গিয়েছে যে তেলেঙ্গানার একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখায় গত ৩১ অগাস্ট রাতে চোর ঢুকেছিল। লকার অবধি পৌঁছে গেলেও তালা ভাঙতে পারেনি। শেষে রণে ভঙ্গ দেয়। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে পুলিস। সেখানেই চোরের উপস্থিতি দেখা যায়। শেষে যে চোর চলে যাচ্ছে সেটাও দেখা যায়। মুখে মাস্ক পরে ঢুকেছিল সে। একমুহূর্তের জন্যেও তা খোলেনি। হাতেও গ্লাভস পরা ছিল তাঁর। ব্যাঙ্ক কর্মীরা জানিয়েছেন যে কোনো টাকা বা গয়না খোয়া যায়নি। যদিও চোরের এমন কাণ্ড দেখে অবাক পুলিশও।