নিউজ ডস্ক: ফের চিতাবাঘের হামলা জটেশ্বরের
তাসাটি চাবাগানে। জানা গেছে চাবাগানের
শ্রমিক অজয় ওরাও নামে এক ২৬ বছরের যুবক নিজের বাড়ির পাশে
দাদার বাড়ি যাচ্ছিলেন । রাস্তায় একটি চিতাবাঘ তার উপর ঝাপিয়ে পরে। পরে এলাকার
লোকেরা ছুটে এলে অজয়কে ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় চিতাবাঘ। জখম অজয়কে প্রথমে তাসাটি
চাবাগানের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল
হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। অজয়ের হাতে ও পিঠে চিতাবাঘ নখ বসিয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত জখম কম হওয়ায় অজয়কে বীরপাড়া স্টেট
জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অজয় ওরাও বলেন , “হঠাৎ করে অন্ধকার থেকে একটি চিতাবাঘ আমার ওপর ঝাপিয়ে পরে। আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকরা জড়ো হতেই চিতাবাঘটি পালিয়ে
যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেচে গেলাম। চিতাবাঘটি বেশি বড় ছিল না”। উল্লেখ্য ২৭ অগাষ্ট তাসাটি চা বাগানের কাছেই অতীত
পাড়াতে ৬৯ বছরের এক বৃদ্ধাকে টেনে নিয়ে গিয়ে মুণ্ড ছিন্ন করে একটি চিতাবাঘ। তার পর
একের পর এক ওই এলাকার কুকুর, ছাগল ও শুকর
শিকার করছে চিতাবাঘ। তাসাটি চাবাগানেও চোখের সামনে একটি বিড়াল
টেনে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান সামনে থাকা দাদু ও নাতি।
তাসাটি চাবাগানে চিতাবাঘ মানুষের গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ায় এলাকায় আতংক আরও
বেড়েছে। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিরসা ওরাও বলেন , “ এলাকায়
নিয়মিত চিতাবাঘ হামলা চালাচ্ছে। এদিন আমি ছুটে না গেলে চিতাবাঘটি অজয়কে মেরে ফেলত।
অবিলম্বে আমাদের এলাকায় খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করতে হবে। বনকর্মীদের
টহল বাড়াতে হবে।” কাছেই জলপাইগুড়ি বন
দফতরের দলগাঁও রেঞ্জের জঙ্গল। ওই জঙ্গল থেকে চিতাবাঘ লোকালয়ে
ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ২৭ অগাষ্ট বৃদ্ধার মুণ্ড
ছিন্ন করার পরেই এলাকায় দুটি খাঁচা ও চারটি ট্র্যাপ ক্যামেরা
বসায় দলগাঁও বন দফতর। কিন্তু কোন কিছুতেই কোন চিতাবাঘের
গতিবিধি নজরে পরেনি বন দফতরের। দলগাঁও রেঞ্জের ডেপুটি
রেঞ্জার প্রীতম রায় বলেন, “ কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এখনও আমাদের কাছে আসে নি। খাঁচা ও ক্যামেরা বসানো আছে।
তাতে চিতাবাঘের গতিবিধি ধরা পরছে না। আমরা নিয়মিত টহল দিচ্ছি। ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে
”।