নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী
নুসরত জাহান রুহীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল ইডি। আগামী মঙ্গলবার সকাল ১১ টার মধ্যে নুসরত এবং অভিযুক্ত সংস্থার অপর এক ডিরেক্টর রাকেশ সিংকে তলব করা
হয়েছে।
জানা গেছে প্রথমে কলকাতার গড়িয়াহাট থানায় নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ
দায়ের হয়। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই তদন্তে সন্তুষ্ট হননি অভিযুক্তরা। এর পর তারা আদালতের
দ্বারস্থ হন। আদালত পুলিশকে তদন্তভার দেয়। চলতি বছরের ১ অগাস্ট নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জানাতে ই. ডি. দপ্তরে প্রতারিতদের সঙ্গে আসেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা।
তৃণমূল সংসদের বিরুদ্ধে বহু মানুষকে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অর্থনৈতিক দুর্নীতির
অভিযোগ আনেন শঙ্কুদেব পন্ডা।
জানা গেছে মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমটেড নামে
একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত জাহান। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে একটি রাস্ট্রায়ত্ত সংস্থার
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগ
রয়েছে। প্রথমে গড়িয়াহাট এলাকা ও পরে নিউটাউনে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতারিত হন লগ্নিকারীরা। তবে সংস্থার অপর ডিরেকটর রাকেশ সিং বলেন,
“নুসরত সংস্থার সাম্মানিক ডিরেক্টর ছিলেন। খানিকটা ব্রান্ড অ্যাাম্বসাডারের মতন ব্যাপার।
সংস্থার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। তাই কাজ করা যায়নি”। জানা গেছে রাকেশ সহ সংস্থার আরেক কর্তা আগে গ্রেফতার
হয়েছিলেন। তারা বর্তমানে জামিনে মুক্ত। কিন্তু নুসরতের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি
পুলিশ।
নুসরত ২ অগাস্ট জানিয়েছিলেন তিনি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন।
তবে সংস্থার ডিরেক্টর পদে থেকে কিভাবে নিজের সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়া যায়। সে বিষয়ে খোলসা
করে কিছু বলেননি তিনি। প্রসঙ্গত ১ অগাস্ট রাতে সল্টলেকের ইডি দফতরে
আসেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। তার সাথে আসেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি, যারা প্রতারিত হয়েছে বলে দাবি করেন। তাদের অভিযোগ কো–অপারেটিভের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার জন্য মেসার্স সেভেন সেন্স
ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার করে টাকা
দেন শতাধিক ব্যক্তি। তাদের দাবি ওই সময় এই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন বর্তমান
তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান রুহি।
প্রতারিতদের দাবি তাদের বলা হয়েছিল পরবর্তী চার
বছরের মধ্যে তাদেরকে ফ্ল্যাট তৈরি করে দেওয়া হবে। যদিও তারা ২০১৮ সালের পরেও
ফ্ল্যাট না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। এরপর আদালতের নির্দেশেই পুলিশ তদন্ত শুরু
করে। যদিও প্রতারিতদের আরও দাবি মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে যে টাকা ওই কোম্পানির
একাউন্টে গিয়েছিল, তার থেকেই ওই কোম্পানির
ডিরেক্টর রা ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট কেনে যার মধ্যে নুসরাত জাহানও রয়েছে। পরে মামলাকারী
ও সাক্ষীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে।