নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলে পূর্ণবয়স্ক হনুমান পিটিয়ে মেরে ভুরি ভোজের প্রস্তুতি। হানা দিয়ে তিন শিকারীকে
গ্রেফতার করল বনদফতর। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য
ছড়িয়েছে পুরুলিয়া বনবিভাগের বলরামপুর রেঞ্জের বেড়শা গ্রামের শিকারি পাড়ায়।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম শুকদেব শিকারী,গোপাল শিকারী ও লক্ষণ
শিকারী। শুকদেব ও গোপালের বাড়ি বলরামপুর থানার বেড়সা
গ্রামের শিকারি পাড়ায়। অন্যদিকে লক্ষণের বাড়ি বাঘমুন্ডি
থানার বাড়েরিয়া গ্রামে। ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল
হেফাজত হয়। পুরুলিয়া বন বিভাগের ডিএফও কার্তিকায়েন এম বলেন, “হনুমানকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের
বিরুদ্ধে ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্টে মামলা রুজু করা
হয়েছে। বাজেয়াপ্ত মাংস ফরেন্সিক টেস্টে পাঠানো হবে।”
রবিবার একদল যুবক অযোধ্যা পাহাড়ের
জঙ্গলে শিকার করতে যায়। পোষ্য সারমেয় দিয়ে ঘিরে ধরে ওই দলটি একটি
হনুমানকে পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ। পরে তারা ভুরিভোজের প্রস্তুতির জন্য
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ শ্রেণীর সিডিউল–২ এ থাকা হনুমানটির মাংস রান্নার প্রস্তুতি
নেয়। ঠিক ওই সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেড়শা সংলগ্ন অযোধ্যা
পাহাড়ে হানা দেয় বন দফতরের আধিকারিকরা। পুরুলিয়া ডিভিশনের এডিএফও সায়নী নন্দীর
নেতৃত্বে এই অভিযান হয়। সঙ্গে ছিলেন বলরামপুর রেঞ্জের আধিকারিক অপূর্ব মোহান্তি সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ের কোলে জঙ্গল ঘেরা এলাকায় অভিযুক্তরা বটি, ছুরি
নিয়ে মাংস টুকরো টুকরো করছিল।ঘটনাস্থল থেকে বন দফতরের আধিকারিকরা প্রায় পাঁচ
কেজি কাটা মাংস, কয়েকটি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। আটক করা হয়
ওই তিন জনকে। পরে তাদের বলরামপুর রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে এসে দীর্ঘক্ষণ
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে ধৃতরা ঘটনার কথা স্বীকার করে বলে বনদফতরের দাবি।
তারপরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।