নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে সৌহার্দ্যপূর্ণ নৈশ ভোজের পর মুম্বইয়ে আরও কাছাকাছি, আরও ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যায় বিজেপি তথা মোদী-বিরোধী INDIA জোটকে। ২৪-এ বিজেপিকে হারানোর উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি এই মহাজোটের শুরু থেকেই আসন সমঝোতা আর প্রধান মুখ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জোটের প্রধান দল কংগ্রেস, অনেক দল তা স্বীকার করে নিলেও স্বীয় রাজ্যে স্বয়ং কংগ্রেসের সঙ্গেই কুস্তি লড়তে দেখা যাচ্ছে সেই দলের নেতাদের। এর জলজ্যান্ত উদাহরণ পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পাঞ্জাব। তাই বাংলায় তৃণমূল আর দিল্লি-পাঞ্জাবে আপের সঙ্গে কীভাবে আসন সমঝোতা সম্ভব, এই নিয়েই সরগরম জোটের ভবিষ্যৎ।
এই অবস্থায় কিছুটা মধ্যপন্থা নীতি নিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কিংবা দিল্লি ও পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির সঙ্গে একান্তই আসন সমঝোতা না হলে কিছু আসনে হতেই পারে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই! কংগ্রেসের বক্তব্য, আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে বাংলাতে তৃণমূল-বাম-কংগ্রেসের প্রকাশ্য মহাজোট হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত না হলে বেশ কিছু আসন একে অপরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হবে। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই এক কদম এগিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভায় কংগ্রেসের জেতা বহরমপুর এবং মালদা-দক্ষিণ ছেড়ে দিতে পারে তৃণমূল। অন্যদিকে পাঞ্জাবে আপের সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতা না হলেও দিল্লিতে কেজরিওয়ালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই করতে সমস্যা হবে না কংগ্রেসের বলে খবর।
এদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা হওয়ার পর বামেদের সঙ্গেও আলোচনা হবে আসন সমঝোতা নিয়ে। তবে বাম-কংগ্রেস দুই শীর্ষ নেতৃত্বই চিন্তিত বাংলার রাজ্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে। ইতিমধ্যেই রাজ্য কংগ্রেসে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। সেটিং স্ট্যাম্প ঘাড়ে নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা বামেদেরও। এই অবস্থায় কংগ্রেসের মধ্যস্থতায় বামেদের সঙ্গেও আসন সমঝোতা নিয়ে নাকি কথা বলবে তৃণমূল! যদিও কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে আর সিপিএম-এর সীতারাম ইয়েচুরি উভয়েই রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে রণকৌশল ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে আগামী লোকসভার রণকৌশলের উপরই যে পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নির্ভর করতে চলেছে, তা এক কথায় নিশ্চিত।