নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল ৬ সেপ্টেম্বর এবং পরশু অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালন করা যাবে জন্মাষ্টমীর। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, রোহিণী নক্ষত্রে মধ্যরাত ১২টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। এই কারণে তিথি অনুযায়ী দুই দিনই আরাধনা করা যায় তাঁর। দেশ জুড়ে চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণের পুজো হলেও বাঙালি তার আদরের লাড্ডু গোপালের আরাধনা কোর্টেই উৎসাহী বরাবর। তাই বাঙালির পুজোর বেদীতে বড় আঁকারের মূর্তি নয়, শ্রী কৃষ্ণ শোভা পান ছোট্ট খাটে আদরের গোপাল রূপেই। পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেখা হয় তাঁকে। অর্থাৎ, খাওয়া-ঘুম-স্নান– বাড়ির আর ৫ জনের মতো এই দৈনন্দিন কৃত্যগুলি করতে হয় বাঙালির গোপালকেও।
গোপালকে বাড়ির সদস্যের মধ্যে ধরা হলেও তার দেখভালের জন্য কিন্তু রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন। আর সেগুলি যথাযথভাবে না মানলে গোসা করে বসে আদুরে গোপাল! বাড়িতে লাড্ডু গোপালকে এনে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার পর থেকেই নিয়ম মেনে করতে হয় তার পরিচর্যা। নিয়মিত স্নান করানো, শঙ্খের জল দিয়ে অভিষেক করানো, যত্ন করে গা মুছিয়ে দেওয়া, তারপর সুন্দর জামা-কাপড় পরানো– এ সবকিছুরই দাবি করে থাকে গোপাল।
দিনে ২ বার অবশ্যই পুজো করতে হয় গোপালের। আর ভোগ হিসেবে তো রাখতেই হবে তাঁর সাধের মাখন! তবে তেমনও আড়ম্বর আশা করেন না ছোট্ট গোপাল। বাড়িতে বড় করে পুজো-উৎসব না থাকলে নিত্যদিন সাধারণ কোনও মিষ্টি, নকুলদানা-বাতাসা বা চিনিও গোপাল গ্রহণ করেন ভোগ হিসেবে। তবে হ্যাঁ, বাড়িতে নতুন কোনও সাত্ত্বিক খাবার এলে অবশ্যই তা প্রথমে নিবেদন করতে হবে গোপালকে। তা না হলে নাকি ভীষণ কষ্ট পান তিনি। অনেক স্নেহময়ী গৃহকর্ত্রী আবার আদরের আতিশয্যে খেলনা কিনে দেওয়া কিংবা বাচ্চাদের মতো ছড়া পড়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতেও কুণ্ঠা বোধ করেন না। এভাবেই শুধু জন্মাষ্টমী নয়, বছরের ৩৬৫ দিনই বাঙালির পরিবারের একজন হয়েই রয়ে যায় আদরের কাঙাল গোপাল ঠাকুর!