নিউজ ডেস্ক: খেজুরি থেকে ফেরার
সময় শিশির অধিকারীর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালাবার অভিযোগ উঠল। খেজুরি থেকে হেঁড়িয়া যাওয়ার সময় তাঁরগাড়ি লক্ষ করে ইটবৃষ্টি করে একদল দুষ্কৃতী। সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির জেরে সাংসদের গাড়ির সামনের দিকের উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে যায়।
দুষ্কৃতীরা তাঁর চেনা জানান বর্ষীয়ান সাংসদ। তিনি বলেন,
“পুলিশকে বলেছি। ওদের ধরতে হবে। ওদের সকলেক অনেক দিন ধরে চিনি। পঞ্চাশ বছরে এরকম ঘটনা
আমার সঙ্গে ঘটে নি”। প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর
থেকেই তাঁর পিতা শিশির অধিকারীকেও আক্রমণ করা হচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। নানান
সময় রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে শিশির বাবুর বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন শাসক দলের বড়, মেঝ, ছোট
নেতারা। কিন্তু তাঁকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হবে একথা ভাবতে পারেননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, “ পঞ্চায়েত সমিতির ভোট ছিল। বিজেপির
দুজনকে ভাঙ্গিয়ে নিয়ে শাসক দলের লোকেরা একজনকে সভাপতি অন্যজনকে সহ সভাপতি করেছে। আমি
একজন ৮৫ বছরের মানুষ। আমাকে নিগ্রহ করার কারণ জানি না। বিডিওকে পর্যন্ত ছাড়েনি
সরকার পক্ষের লোকেরা। বিডিও চেয়ারে বসতে পারছে না। অত্যন্ত অগ্নিগর্ভ অবস্থা ছিল। আমি প্রশাসনকে
অনুরোধ করলাম অন্য একদিন বোর্ড গঠন করা হোক। এর পর আমি ওখান থেকে চলে আসি। সেই সময় তেঁতুলতলার
কাছে ইট ছোঁড়া শুরু করল। আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত ছিল। তিনটে পাথর লেগেছে গাড়িতে।
আমি সাংসদ। সংসদে জানাব”।
প্রকাশ্যে না বললেও তাঁর ইঙ্গিত যে শাসক দলের
দুষ্কৃতীদের দিকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
বলেন, “বাবাকে আক্রমণ করে ভাল কাজ করেনি। রাজনৈতিক আক্রমণকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নামিয়ে
এনেছে ওরা। সাংসদ এই রাজ্যে নিরাপদ নয়। তাহলে ভাবুন সাধারণ মানুষ কেমন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এরাজ্যে শাসন ব্যবস্থা বলে আর কিছু বাকি নেই”। প্রসঙ্গত পুলিশ
এবিষয়ে কথা বলেছে শিশির অধিকারীর সঙ্গে। দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চলছে দাবি পুলিশের”।