নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলা
আসানসোল সিবিআই আদালত থেকে স্থানান্তরিত হল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। ফলে অনুব্রত মন্ডলের আসানসোলে ফেরার পরিকল্পনা বিশ বাঁও জলে বলেই
মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক
রাজেশ চক্রবর্তী শেষ
দু দিনের শুনানিতে ইডির আইনজীবীর কাছে যে তথ্য দেখতে চান বুধবার সেই তথ্য পেশ করেন ইডির আইনজীবী অভিজিত ভদ্র। ১
জুলাই ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের
জারি করা নোটিফিকেশন পেশ করেন ইডির আইনজীবী । সেই নোটিফিকেশনে ই ডি আর্থিক
দুর্নীতি মামলায় ৪৪/১সি ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন
করতে পারে বলে উল্লেখ রয়েছে।
যদিও এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন অনুব্রতর
আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। তিনি আবেদন করেন, “সিবিআই’এর মামলা যত দিন না
সমাপ্ত হচ্ছে ততদিন যেন এই আবেদন স্থগিত রাখা হয়। অনুব্রতর মন্ডলের
মামলা দিল্লি স্থানান্তরের
বিষয়ে বার বার আসানসোল সিবিআই বিশেষ
আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ই ডি আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন এই মামলা
স্থানান্তর করতে চাইবার এক্তিয়ার ই ডি’র আছে নাকি ? কোন আইনের ভিত্তিতে ই ডি এই দাবি করছে ? এই মামলা
কেন্দ্রীয় এজেন্সি ই ডি ই করবে কেন ? এ বিষয়ে ১৯ই অগাস্ট
শুনানিতে ই ডি’র আইনজীবী সদুত্তর দিতে পারেন নি বলে সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে
পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল ২ রা সেপ্টেম্বর। সেদিন ও ই ডি এর আইনজীবী
সন্তুষ্ট করতে পারেন নি আদালতকে বলে সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে আরো ৪ দিন সময় চায়
ই ডি। সেই অনুযায়ী বুধবার এ বিষয়ে শুনানি হয়।
বিচারকের প্রশ্ন ছিল সেই এক ই।
তবে বুধবার ই ডি’র আইনজীবী
প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন দেখান বলে সূত্রের খবর। অপর দিকে অনুব্রত আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ এই মামলা স্থানান্তরের বিষয়ে
বিরোধিতা করেন। তার দাবি তদন্ত চলছে। ফলে মামলা স্থানান্তর কি ভাবে
সম্ভব ?
ই ডি আইনজীবী .অভিজিৎ ভদ্র জানান,২০০৫ সালের এক নোটিফিকেশন অনুযায়ী মানি
লন্ডারিং মামলা স্থানান্তর ও তদন্ত করে পারে ই ডি। সেই নোটিফিকেশন এ অর্থ দপ্তর ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা আছে যে
পি এম এল এ অ্যাক্টে এ রকম মামলা ই ডি যে কোনো জায়গায়
স্থানান্তর করার আবেদন জানাতে পারে। সেই নোটিফিকেশনের পর
আদালত সন্তুষ্ট হয় বলে খবর। এর পর বিচারক মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। যদিও
অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানান, “২০০৫ সালের এক
নোটিফিকেশন ই ডি দেখিয়েছে। আগামী ১১তারিখের মধ্যে মামলা স্থানান্তরের কথা বলা আছে।
কিন্তু ২ পাতার অর্ডার আছে”। তিনি আরও জানান উচ্চ আদালতে যাবার
সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিল্লিতে মামলা গেলে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।