নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির একটি চিঠিতে ইন্ডিয়ার স্থলে ভারত শব্দটি ব্যবহার করায় গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। অনেকেই মনে করছেন এই চিঠিটা ডেমো মাত্র! খুব শীঘ্রই ইন্ডিয়া হতে চলেছে ভারত। এদিকে বিরোধী জোটের সদস্যরা বলছেন, তাদের জোটের নামে ভয় পেয়ে দেশের নাম বদলে দিচ্ছে মোদী সরকার। যদিও এই নাম বদল আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে কিন্তু কোনওরকম বিবৃতি আসেনি সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এখানে, সত্যিই কি দেশের নাম বদল করা হবে, যদি ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় ভারত? রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেখা যাক কী বলছে দেশের মহামান্য সংবিধান এবং ইতিহাস।
প্রথমে আসা যাক দেশের সংবিধানে। সংবিধানের ১ নম্বর ধারাতেই কিন্তু রয়েছে এই সমস্যার সমাধান! সেখানে পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে-‘India, that is Bharat, shall be a Union of States। সাংবিধানিকভাবে বলাই রয়েছে দেশের উভয় নামই গ্রহণযোগ্য এবং Interchangable অর্থাৎ বিনিময়যোগ্য। অর্থাৎ কোনও সরকার দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে ভারত করে দিলে তা কোনওভাবেই সংবিধানবিরোধী বলে গণ্য হবে না।
এবার ইতিহাসের পাতায় ডুব দিয়ে দেখা যাক ইন্ডিয়া এবং ভারত নামের উৎপত্তি কী। India নামের উৎপত্তি ‘সিন্ধু’ শব্দ থেকে। পার্সীরা সিন্ধুকে হিন্দু উচ্চারণ করতে থাকে। এরপর গ্রীকরা সেই শব্দকে ‘ইন্ডোস’। সেখান থেকেই INDIA নাম আসে। পরবর্তীকালে ব্রিটিশরা এই বিকৃত হয়ে যাওয়া শব্দকেই দেশের নাম হিসেবে গ্রহণ করে।
আসা যাক ভারত প্রসঙ্গে। ‘ভারত’ নামটি পাওয়া যায় হাজার হাজার বছরের প্রাচীন শাস্ত্রে। মহাভারত ছাড়াও বিষ্ণু পুরাণে রয়েছে ভারত নামক রাষ্ট্রের বর্ণনা- ‘উত্তরং য়ৎ সমুদ্রস্য হিমাদ্রেশ্চৈব দক্ষিণম্/ বর্ষং তৎ ভারতং নাম ভারতী য়ত সন্ততিঃ।’ অর্থাৎ ‘যে দেশটি সমুদ্রের উত্তরে এবং তুষারময় পর্বতের দক্ষিণে অবস্থিত, তাকে ভারত বলা হয়, কারণ সেখানে মা ভারতীর বংশধরেরা বাস করে।’ মহাভারতের আদি পর্ব অনুসারে চন্দ্র বংশীয় রাজা ভরতের নাম থেকে ‘ভারত’ উৎপত্তি। রাজা ভরত ছিলেন অখণ্ড ভারতের রাজ চক্রবর্তী, তাঁর বংশধর হিসেবেই ভারতের অধিবাসীদের বলা হয়েছে ভারতীয়। Tags: NULL