নিউজ ডেস্ক: ১ বৈশাখ
পশ্চিমবঙ্গ দিবস হোক শাসকদলের এই প্রস্তাবের জোরাল বিরোধিতা
করল। বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এদিন বিধানসভায় শাসকের প্রস্তাবের চূড়ান্ত বিরোধিতা করে। ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস হোক দাবি বিজেপির। এমনকি আইএসএফ
রাজ্য সরকারের পশ্চিমবঙ্গ দিবসের নির্ধারিত দিনের বিরোধিতা করে। পরিবর্তে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “১৬ অক্টোবরকে বেছে নেওয়া হোক। কারণ, বঙ্গভঙ্গর মতো
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে”। তার যুক্তি বিধানসভায়
এক ঘণ্টার আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হঠকারিতা। এবং ১২ বছর
সময় লেগে গেল? এই বাংলা দিবস উদযাপন করলে কি চাকরি, ডি
এ, সব উদ্ধার হবে?
এদিন বিধানসভায় শংকর ঘোষ বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ
উপলব্ধি করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের কী অবস্থা হতে পারে ৫০ বছর পর। তাই তাঁর ঠিক
করে যাওয়া দিন ২০ জুনকেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস বলে মানি। এই
প্রস্তাবে একনায়কতন্ত্র ফুটে উঠেছে। বলা হচ্ছে এই তারিখটি দুঃখজনক ঘটনার স্মৃতি।
১ বৈশাখ কেন? একটা বাড়ির ৩ তলা তৈরির দিনটিকে
প্রতিষ্ঠা দিবস ধরা হচ্ছে! পশ্চিমবঙ্গ দিবস ২০ শে জুন ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। ক্যালেন্ডারের
প্রথম দিন এর সঙ্গে রাজ্য প্রতিষ্ঠার সম্পর্ক নেই”।
অন্যদিকে অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “অগ্নিমিত্রা
পাল রাজ্যপাল নির্ধারিত ২০ জুন তারিখে পালন করেছেন। সেটাই মেনে নিক রাজ্য সরকার”। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নবান্নে
আমরা সভা করেছিলাম। অনেকে বলছেন তাড়াহুড়ো কেন? এতদিন করা
হয়নি, কারণ এতদিন ২০ জুন তারিখটাও কেউ
উদযাপন করেনি। কোথাও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। এই বছর কেন্দ্র
বিজ্ঞপ্তি দেয়। রাজ্যপাল পালন করেন। বলেছিলাম এই দিনটা বিধ্বংসী দিনের স্মৃতি।
সব কিছু চাপিয়ে দেবেন না। মানতে পারব না”।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবসের
নির্ধারিত দিন নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা ছিল। সেই আলোচনা শাসক
বিরোধী দুই পক্ষের দরজায় পরিণত হয়। বিজেপির অভিযোগ শাসক
পক্ষের বেঞ্চ থেকে অসংসদীয় ভাষায় আক্রমণ করা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে হরিদাস পাল বলে কটুক্তি করেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়করা
জয় বাংলা স্লোগান দিতে শুরু করেন। এর পরই বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে আলোচনা
বয়কট করে বিজেপি। বিধায়কদের নিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন বিরোধী দলনেতা
শুভেন্দু অধিকারী। শাসকের প্রস্তাবে রাজ্যপাল যাতে সায়
না দেন সেই দাবি জানিয়ে পায়ে হেঁটে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তিনি
সরাসরি পৌঁছে যান রাজভবন।