নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে
চলছে G-20 সম্মেলন। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে
জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। এরই মাঝে চিনা সরকারের বিরুদ্ধে তিব্বতের উপর অবৈধ
জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় সেদেশের শরণার্থীদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তিব্বতের শরণার্থীদের অভিযোগ, চিন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তাদের দেশ।
তাদের দাবি G-20 বৈঠকে যোগ দেওয়া ১৯ টি দেশকে তারা
জানাতে চায় ড্রাগন কোনভাবেই ভরসার যোগ্য নয়। রাজধানী দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকায়
বিক্ষোভ দেখায় তিব্বতের শরণার্থীরা।
তিব্বতের
যুব কংগ্রেসের অধ্যক্ষ গম্পো ঢুন্ডুপ বলেন, “ সাত দশক হতে যায়। আমাদের প্রজন্মের অনেকে আমাদের
মাতৃভূমি দেখতে পাইনি। আগের প্রজন্মের যারা নিজভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তারা নিজের
দেশে শেষ জীবন কাটাতে চান। আমাদের দেশ আমরা ফেরত চাই। ড্রাগন থেকে মুক্তি চাই। ওরা
বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমাদের দেশ গিলে ফেলার পর ওরা এখন অরুণাচল চাইছে। ভারতের আরও সাবধান
হোয়া উচিত”।
প্রসঙ্গত
১৯৫১ সালের মে মাসে শেষ দিকে
চিনের কমিউনিস্ট
সরকারের
নির্দেশে লাল ফৌজ তিব্বতের
উপর হঠাৎ আক্রমণ করে বসে। লাল ফৌজের আক্রমণে লক্ষাধিক মানুষ
নিহত হন। তারপর থেকেই তিব্বতের উপরে অবৈধ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের। যদিও চিন দাবি করে এসেছে তিব্বত তাদেরই অংশ।
প্রসঙ্গত চলতি মাসেই নতুন একটি মানচিত্র জারি করে বেজিং। সেই মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশ চিনের বলে দাবি করা হয়। ভারতের তরফ থেকে
এর জোরালো
প্রতিবাদ জানানো হয়। এমতাবস্থায়
তিব্বতিদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। G-20 বৈঠকের আগে তিব্বতি শরণার্থীদের এই
বিক্ষোভ চীনের সেই একতরফা আক্রমণের মাধ্যমে অবৈধ কব্জার স্মৃতি টাটকা করে দিল। যা
চীনের ভাবমূর্তিকে বিপাকে ফেলবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।