নিউজ ডেস্ক: ‘তুঘলকি কাজ’, ‘মাঝরাতে অ্যাকশন’ আর ‘ভ্যাম্পায়ার’– ফের চরমে শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। উল্লেখ্য, গতকাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে ডাকেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাররা। সেই বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ব্রাত্য বসু অভিযোগ জানান, রাজভবন থেকে চাপ দিয়ে বৈঠকে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল অনেক রেজিস্ট্রারকে। সেই সঙ্গে রাজ্যপালের কাজকর্মকে তুঘলকি বলেও আখ্যা দেন তিনি।
আর এই বিষয়ে আজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে শিক্ষা মন্ত্রীকে কার্যত হুঁশিয়ারির ভাষায় তিনি বলেন, আজ মাঝরাতে কেমন অ্যাকশন হয় দেখতে পাবেন। আর রাজ্যপালের এই প্রতিক্রিয়ার পর ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে আক্রমণ করেন ব্রাত্য বসু। এবার ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে রাজ্যপালের তুলনা টানতে দেখা যায় তাঁকে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘সাবধান, সাবধান, সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে। শহরবাসী নিজেদের খেয়াল রাখুন। ভারতীয় পুরাণ মতে রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষায় আছি।’
এর আগে জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীনও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত দেখা গিয়েছিল বারেবারে। আনন্দ বোস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে সুসম্পর্ক দিয়ে মেয়াদের সূচনা করলেও ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক হয়েছে তিক্ত। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে রাজ্যে লাগামহীন সন্ত্রাসের মোকাবিলায় রাজ্যপালের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল সরকারকে। আর বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সেই সংঘাত পৌঁছে গেছে তুঙ্গে। মধ্য রাতের মধ্যে কী পদক্ষেপ নেন রাজ্যপাল তা নিয়ে এখন চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি রাজ্য নিযুক্ত সমস্ত উপাচার্যকেই বরখাস্ত করতে চলেছেন রাজ্যপাল?