নিউজ ডেস্ক: রেললাইনে হাতি এবং
বন্যপ্রাণীর মৃত্যু রুখতে এক বছর আগে চালু হয়েছিল ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত প্রথম এই ব্যবস্থা চালু করা হয় আর তাতে
সাফল্য মেলায় এবার শিলিগুড়ির সেবক থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ১৬৩ কিলোমিটার
রেলপথে এই পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। গতকাল শনিবার রেলের
আধিকারিকদের সঙ্গে বনদফতরের আধিকারিকদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় যেখানে
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি রেল ও বনদফতরের
আধিকারিকদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অতীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অনেক হাতির
মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে গত ২০ বছরে ১০০–এর কাছাকাছি হাতির মৃত্যু হয়েছে।
যদিও ট্রেনের গতি কমানোর পর গত তিন বছরে এই সংখ্যাটা অনেকটাই কমেছে। গত তিন বছরে
মাত্র ২টি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। রেল ও বন দফতর আশাবাদি নতুন এই পদ্ধতি ফলপ্রসূ হবে
এবং বন্যপ্রাণীর মৃত্যু রোখা সম্ভব হবে। আইডিএস পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য প্রথম ধাপে
৭৯ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রথম ধাপে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য থেকে
শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং
কেরলে এটি চালু হলেও পরে ধীরে ধীরে সারা ভারতেই এই পদ্ধতি
চালু করা হবে বলেই জানিয়েছে রেল দফতর।
সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন
আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডি আর এম অমরজিৎ গৌতম, উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল উজ্বল ঘোষ সহ রেল ও বনবিভাগের উচ্চ
পর্যায়ের আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠকের শেষে তাঁরা জানান, শিলিগুড়ির সেবক থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ১৬৩
কিলোমিটার রেলপথে যাতে বন্য প্রাণী মারা না যায় সেই বিষয় নিয়েই ছিল এদিনের বৈঠক।
আইডিএস আর কোথায় লাগু করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়।