নিউজ ডেস্ক: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের
অন্তর্ভুক্তির দাবি দীর্ঘদিনের। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আপ্রাণ চেষ্টা
চালাচ্ছেন। কিন্তু বাধার দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে চিন। বদলে যাওয়া সমীকরণে রাশিয়ার অবস্থান
স্পষ্ট নয়। কিন্তু মোক্ষম সময়ে পুরোনো শত্রু বন্ধুর অবতার অদয় হল। জাতিসংঘের
নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অন্তর্ভুক্তির দাবিকে স্বাগত জানালেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
বললেন ভারত জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হলে তা হবে গর্বের বিষয়।
এত দিন ভারতের সঙ্গে তুর্কির সম্পর্ক ছিল যেন বুনো ওল আর বাঘা
তেঁতুল। আরমেনিয়া আজারবাইজান যুদ্ধের পর সেই সম্পর্কে আরও ফাটল তৈরি হয়। কারণ আজারবাইজানকে
সমরাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে তুর্কি। অন্যদিকে পিনাক রকেট লঞ্চার সিস্টেম সহ আরও বহু
সমরাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আরমেনিয়ার সাহায্য করে ভারত। কিন্তু সেই পরিস্থিতি বদলে গেল
G-20’র বৈঠকে। শত্রুতার মনোভাব ছেড়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের
স্থায়ী আসনের দাবিকে স্বাগত জানালেন তিনি। G-20’র বৈঠক শেষে
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী
আসনে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান একে ‘গর্বের বিষয়‘ বলে অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন,
“বিশ্ব পাঁচটি রাষ্ট্রে সীমিত নয়। তা (মার্কিন,
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন
ও রাশিয়া) চেয়েও বড়। ভারতের মতো একটি দেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে থাকা,
আমরা গর্বিত হব। । ১৯৫ টি নন কাউন্সিল সদস্য
দেশ রোটেশন পদ্ধতির
মাধ্যমে সাময়িক ভাবে কাউন্সিল সদস্য হতেই পারে”।
ভারতের স্থায়ী সদস্যতাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা
পরিষদের বর্তমান ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তার মতে
পাঁচটি শক্তিধর রাষ্ট্রের পাশাপাশি আরও সদস্যের স্থায়ী পদ থাকা উচিত। ১৯৫ টি দেশের
কাছেই রোটেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছু সময়ের জন্য ভিটো পাওয়ার থাকা উচিত। এতে জাতীয়
পর্যায়ে জাতিসংঘের প্রতি বিশ্বাস আরও বাড়বে।
প্রসঙ্গত জাতিসংঘে ভারতের অনতর্ভূক্তির দাবিকে আগেই সমস্ররথন জানিয়েছে আমেরিকা ফান্সের
মত দেশ। বড় বাধা একমাত্র চিন। কিন্তু পাশাপাশি চন্দ্রযানের পাল্টা লুনা ২৫ মিশন এবং
G-20’র বৈঠকে অনুপস্থিত হয়ে রাশিয়া কি বার্তা
দিতে চায় তা বিশ্লেষণ করছে বিদেশ মন্ত্রক।