নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলাগুলির মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ আক্রমণটি হলো- ৯/১১ আমেরিকা। ২২ বছর আগে আজকের দিনে একটি নয়, চার চারটি ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী বিস্ফোরণে স্তব্ধ হয়ে পড়ে আমেরিকা। সব মিলিয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ৩০০০ নিরীহ মানুষের। আজ ফিরে দেখা যাক সেই অভিশপ্ত স্মৃতি।
২০০১-এর ১১ সেপ্টেম্বর। ১৯ জন জঙ্গি একাধিক বিমানবন্দরে ভাগ হয়ে গিয়ে ৪ টি যাত্রী বিমান হাইজ্যাক করে ফেলে। সকাল পৌনে নটা। ১৭ মিনিটের মধ্যে ২ টি বিমান হানায় ধ্বংস করে দেওয়া হয় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবন। কর্ম ব্যস্ততাকে ছাড়খার করে প্রথম বিমানটি আছড়ে পড়ে উত্তর মিনারের ৯৩ তলার দিকে। আর দ্বিতীয় বিমানটি আঘাত হানে দক্ষিণ মিনারের ৭৭ থেকে ৮৫ তলায়। মুহূর্তে আগুনের গ্রাসে ডুবে যায় দুটি টাওয়ারই। আটকে পড়ে লোকজন। দুই আঘাতের ফলে মৃত্যু হয় ২৭৬৩ জনের। অন্যদিকে, দুটি বিমান মিলিয়ে মৃত্যু হোয় ১৪৭ জন সাধারণের।
আচমকা দুটি ভয়াবহ আক্রমণ সামলে ওঠার সময় না দিয়েই মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে তৃতীয় আঘাতটি হানে সন্ত্রাসবাদীরা। এবারে লক্ষ্য হয় ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন কাউন্টিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। মৃত্যু হয় ১৮৯ জনের। আর চতুর্থ অর্থাৎ শেষ হামলাটি হয় আরও আধ ঘণ্টা বাদে পেনসিলভেনিয়ার একটি গ্রামে। সেই হামলায় মোট মৃত্যু হয় ৪০ জনের। হামলার সময়সূচি আর পরিকল্পনা দেখেই বোঝা গিয়েছিল রীতিমত আঁটঘাট বেঁধে করা হয় এই নারকীয় পরিকল্পনা।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ধ্বংস হইয়ে যাওয়া প্রভাব ফেলেছিল গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে। ভয়াবহ হামলাটির দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা। কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেনকেই এর প্রধান মাথা মনে করা হলেও সরকারিভাবে অবশ্য তা বলা হয়নি। সংগঠনটির আর এক জঙ্গি খালিদ শেখ মহম্মদকে শনাক্ত করে আমেরিকা। আর ২ বছর পর পাকিস্তানের রাওয়ালাপিণ্ডি থেকে গ্রেফতারও করা হয় তাকে। অন্যদিকে ২০১১ সালের ১ মে অ্যাবোটাবাদে একটি সার্জিকাল স্ট্রাইক করে আমেরিকা, যেখানে লাদেনকে এনউন্টার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। আজ পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ব্যস্ততম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। তবে প্রতি বছরই ১১ সেপ্টেম্বরের সেই অভিশপ্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতিকে টাটকা করে করে তোলে ব্যস্ততার প্রতীক এই বহুতলটি।