নিউজ ডেস্ক: ৬ ঘন্টা পর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দপ্তর
থেকে বের হলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। বেরিয়ে হাসিমুখে তিনি
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “যা বলার সব বলেছি”। তবে সাংবাদিকদের বেশিরভাগ
প্রশ্নের উত্তর দেন নি তিনি।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকে ইডি দফতরে আসেন তৃণমূলের অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ
নুসরত জাহান রুহি। মঙ্গলবার সকাল ১১টার কিছুক্ষণ আগে নীল
বাতি লাগানো সাদা রঙের অভিজাত একটি গাড়িতে চড়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে
পৌঁছান নুসরত। একটি ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে বসিরহাটের সাংসদকে ডেকে
পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রে খবর, একটি
ফ্ল্যাট নির্মাণ সংস্থার ডিরেক্টরের পদের দায়িত্ব ছিলেন নুসরত। অভিযোগ, সেখানকার প্রায় ৪০০ জনের বেশি গ্রাহকরা ইডির কাছে
অভিযোগ জানান ফ্ল্যাট
কেনার জন্য ২০১৭ সাল নাগাদ নুসরতের ওই কোম্পানিকে বিপুল অংকের টাকা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ছয় বছর কেটে গেলেও,
গ্রাহকরা সেখানে ফ্ল্যাট পাইনি। এমনকি, গ্রাহকরা
জমা করা অর্থ ফেরত পায়নি। অভিযোগ, ২০১৭ সালে যখন ফ্ল্যাট
কেনার জন্য ওই কোম্পানিকে টাকা দেওয়া
হয়েছিল, তখন নির্মাণ কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। মূলত সে প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য নুসরাতকে ইডিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সেই সমন পেয়ে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে সহযোগিতা করতে মঙ্গলবার সকালেই সল্টলেক সিজিও কমপ্লেসে পৌঁছে যান নুসরত।