নিউজ ডেস্ক: তলব করার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আগে হাজিরা এড়ালেও অবশেষে বুধবার সিজিও কমপ্লেক্স ইডি দপ্তরে সকাল ১১টা ৩৪ মিনিট নাগাদ এলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন অভিষেক। তার আগের দিন মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। চেয়েছিলেন রক্ষাকবচ। তবে লিখিত রক্ষাকবচ না থাকলেও মৌখিক রক্ষাকবচ রয়েছে তার। আবেদন শোনার পর বিচারপতি জানান, ইডি এই বিষয়ে আগেই মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তারা সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পর্যন্ত পালন করেছে। তাই নতুন করে কোনও রক্ষাকবচের প্রয়োজন নেই অভিষেকের। শুনানির সময় ‘সমন মানেই অভিযুক্ত নয়। এবং গ্রেফতারি নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকার’ আশ্বাস দিয়েছেন ইডি-র কৌঁসুলিও।
জানা গেছে এদিন দুপুর ১২:০০ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইডি আধিকারিক। মঙ্গলবার রাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রশ্নমালা তৈরি করে রাখেন ইডি আধিকারিকরা। অভিষেক লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর পদ ছেড়ে দিলেও সি ই ও পদে রয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অভিষেকের পরিবারের তিন সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন কালিঘাটের কাকু সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে ইডির। সেগুলি সম্পর্কে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত বুধবার বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু তদন্তে সহযোগিতার স্বার্থে বৈঠকে যোগ দেওয়া হল না অভিষেকের। এক্ষেত্রে তৃণমূল শিবিরের প্রশ্ন সমন্বয় কমিটির বৈঠক কবে হবে তা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তা সত্বেও একই দিনে তলবের পিছনে রাজনৈতিক ষডযন্ত্রের ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছে ঘাসফুল শিবির।