নিউজ ডেস্ক: ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব তন্ত্রমতে অপরিসীম। শাস্ত্র মতে, এই বিশেষ তিথিতে ধরাধামে আবির্ভূতা হয়েছিলেন মা তারা। আর মা তারারই আরেক নাম কৌশিকী। ধরাধামে তিনি আবির্ভূতা হয়েছিলেন শুম্ভ-নিশুম্ভ নামে দুই অসুরকে বধ করতে। শাক্ত মতে বিশ্বাসীদের জন্য দিনটি অত্যন্ত পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত নিয়ম মেনে পূজার্চনা করা ছাড়াও বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত এইদিন। বলা হয়, এই দিনটিতে সাত্ত্বিকভাবে কাটানো উচিত।
বিধি মেনে পূজার্চনা করা সম্ভবপর না হলে কয়েকটি সাধারণ নিয়ম পালন করা যেতে পারে। বলা হয়, এতে দেবী প্রসন্না থাকেন। যেমন প্রথমেই বলা যায়, বাড়িতে দেবী মূর্তি বা ছবি থাকলে তাতে মালা দেওয়া ভালো। দেবীর ছবি না থাকলে অন্য যে কোনও দেবীমূর্তি বা ছবিতে মালা দেওয়া যেতে পারে। দেবীকে ফল-মিষ্টি দিয়ে পুজো করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আবার অনেকে দেবীকে আমিষ ভোগ দিয়েও তুষ্ট রাখতে চান। তবে এদিন ভাত না খেয়ে হালকা ফলাহার করাও ভালো।
নীতিগতভাবেও মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। স্মরণীয়, এদিন দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করতে মর্ত্যে এসেছিলেন দেবী। তাই দিনটি ইতিবাচকভাবে কাটানো খুব প্রয়োজন। কোনওরকম মিথ্যা না বলা বা কোনও অসহায় মানুষকে সাহায্য করলে আশীর্বাদ করেন মা তারা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যারা নিত্যদিন মায়ের পুজো করেন, তাদের জন্য বাঞ্ছনীয় আরও সতর্ক থাকা। কারণ মায়ের ভক্তেরা ভুল কাজ করলে অত্যন্ত কুপিতা হয়ে পড়েন মা। আর এতে আশঙ্কা থাকে অমঙ্গলের। তবে বিধিগুলি মেনে চললে ভালো হয় সকলেরই।