নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের পর আশঙ্কা বাড়িয়ে ফের নিপা ভাইরাসের সন্ধান মিলল দেশে। উৎসস্থল সেই কেরালা। এবার এই ভাইরাসে ফের ২ জনের মৃত্যু হলো কেরালার কোঝিকোড়ে। এর সঙ্গে আরও ২ জন হয়েছেন আক্রান্ত। কেরালা সরকার ইতিমধ্যেই জারি করেছে একাধিক স্বাস্থ্য প্রোটোকল। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বিশেষ মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে রাজ্যটিতে। ইতিমধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামীকাল শুক্রবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কোঝিকোড় জেলার সমস্ত স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
নিপা নিয়ে যেভাবে সতর্কতা দেখাচ্ছে সরকার, প্রশ্ন উঠছে কতটা ক্ষতিকারক এই রোগটি? সত্যি বলতে নিপা ভাইরাস নিয়ে ন্যূনতম ধারণাও নেই অধিকাংশ মানুষের। কিন্তু উল্লেখ্য যে এই ভাইরাসটি ভারতে ধরা পড়ে করোনা ভাইরাস আসারও পূর্বে। ১৯৯৮ সাল নাগাদ নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব প্রথম পাওয়া যায় মালয়েশিয়ায়। সাধারণত শূকর, কুকুর, বাদুড়ের মতো পশুর মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে এই রোগটি। বস্তুত এই ভাইরাসটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে। ২০০১ সালে শিলিগুড়িতেও মিলেছিল এই ভাইরাসের অস্তিত্ব। ২০১৮ এবং ২০২১ সালে কেরালায় বেশ কিছু আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল এই রোগে।
নিপা ভাইরাসের কিছু সাধারণ উপসর্গ হলো:
১. প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট
২. জ্বর ও কাশি
৩. মস্তিষ্কে প্রবল জ্বলন
৪. স্নায়ু দৌর্বল্য ও ঘুম ঘুম ভাব
৫. অনেকক্ষেত্রে নিউমোনিয়া
এ পর্যন্ত নিপা ভাইরাসের কোনও ভ্যাক্সিন পাওয়া যায়নি। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ইন্টেনসিভ সাপোর্টিভ কেয়ারে রাখা হয়। ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে, যে কারণে আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে দ্রুত সাবান দিয়ে হাত-পা-মুখ ধুয়ে ফেলা উচিত। ব্যবহার করা উচিত মাস্ক। এই ভাইরাসটির সংক্রমণ এড়োনোর জন্য অবশ্যই মেনে চলা উচিত WHO- এর জারি করা গাইডলাইন:
১. না ধুয়ে কোনও ফলই খাওয়া উচিত নয়।
২. বাদুড়ের বসবাস করা এলাকা থেকে দূরে থাকা।
৩. ভুলেও কাঁচা খেজুর রস পান নয়।
৪. গাছ থেকে পড়া আধ খাওয়া ফল না খাওয়া।
৫. কাপড়জামা নিত্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা