নিউজ ডেস্ক: পুজোতেই মুক্তি পেতে চলেছে দেবের অন্যতম চর্চিত ছবি ‘বাঘা যতীন’। সেই ছবিতে শুধু দেব নয়, থাকছেন টালিগঞ্জের একঝাঁক সেরা কলাকুশলীরা। ঐতিহাসিক ছবি হওয়ার সুবাদে এই ছবিতে দেখা যাবে প্রায় ৯২ জন বিপ্লবীদের। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ক্ষুদিরাম বসু। ছবিতে ক্ষুদিরামের লুক আগেই প্রকাশ করেছিল নির্মাতারা। টলিপাড়ার তরুণ তুর্কী সামিউল আলম ক্ষুদিরামের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। এইবার আরেক স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের লুক শেয়ার করলেন দেব।
‘বাঘা যতীন’-এর কাস্টিং এর দ্বায়িত্বে ছিলেন সৃজা ভট্টাচার্য। গত দেড় বছর ধরে বাংলার এদিক সেদিক ঘুরে বেরিয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খুঁজে বের করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ‘বাঘা যতীন’ ছবিতে অরবিন্দ ঘোষের লুক প্রকাশ্যে আসার পরেই মুগ্ধ নেটিজেনরা। বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম অভিনেতা সজল মন্ডল। ‘মন্দার’-এর মজনু বুড়িকেই এবার দেবের ছবিতে ঋষি অরবিন্দের চরিত্রে দেখা যাবে। ‘মন্দার’ সিরিজের মজনু বুড়ির চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন সুন্দরবনের সজল মণ্ডল ৷ এবার স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্রে তিনি কেমন নজর কাড়েন সেটার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই। যদিও অরবিন্দ ঘোষের চরিত্রে তাঁর লুক যথাযথ।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন সজল। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পরে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন। অনির্বাণ ভট্টাচার্য পরিচালিত ‘মন্দার’ তাঁর অন্যতম চর্চিত কাজ। এবার বড়পর্দায় ব্রেক পেতে চলেছেন তিনি। বাংলা বিপ্লবী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ অরবিন্দ ঘোষ। ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ইংরেজদের অধীনে চাকরি না করে ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের বিপ্লবী নেতা ঠাকুর সাহেবের সংস্পর্শে এসে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেন। তাঁর ভাই বারীন্দ্রনাথ ঘোষও সংগ্রামী ছিলেন। আলিপুর বোমা মামলায় উঠে আসে তাঁর নাম। তাঁর সেই গল্পকেই দেখা যাবে ‘বাঘা যতীন’-এ। এবার সেই চরিত্রকে পর্দায় কতটা ফুটিয়ে তুলবেন সজল তা দেখার বিষয়।