নিউজ ডেস্ক: খাতায় কলমে তিনি জেলা সভাপতি থাকলেও বীরভূমের সাংগঠনিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে আগেই তুলে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুরুত্ব কমার ইঙ্গিত আগেই ছিল। এবার কি দলে একেবারে সাইডলাইন হয়ে গেলেন একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল।
একসময় তার কথায় বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত। পুলিশকেও বোমা মারা হুঁশিয়ারি দেওয়ার মত সাহস ছিল শুধু অনুব্রতর। বহু গুরুতর অভিযোগে খালাস হয়েছেন আগেই। কিন্তু গরু পাচার মামলায় বেজায় ফেসেছেন তিনি। দিদির স্নেহভাজন কেষ্ট এক বছরের বেশি সময় জেলে রয়েছেন। অসুস্থতার দোহাই দিয়েও মেলেনি জামিন। উপরন্তু বেশি বেগড়বাই করার শাস্তি হিসেবে আসানসোল থেকে ট্রান্সফার হয়েছেন তিহারে। এখন তার মেয়ে সুকন্যাও বাবার সঙ্গে একই জেলের অন্য সেলে বন্দি।
আসানসোল বিশেষ আদালত থেকে অনুব্রতর মামলাও দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে চলে গিয়েছে। আসানসোল আদালতের বিচারকের অনুমতি মেলায় মামলার নথিও নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লিতে। সেই পরিসরে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিও ফ্যাকাসে হয়ে আসছে।
এখন যেন তিনি অতীত। দলের মধ্যে তার উলটো মেরুর কাজল শেখ হয়েছেন জেলা সভাধিপতি। তার ঘনিষ্ঠরাও ধীরে ধীরে দলের মধ্যে গুরুত্ব হারাচ্ছেন। এরই মাঝে দুয়ারে সরকারের শিবিরের ব্যানার থেকে উধাও হয়ে গেল অনুব্রতর ছবি। দুবরাজপুর ব্লকের লোবা পঞ্চায়েতের বসানো তোরণে অনুব্রতর ছবি নেই। মমতার ছবি রয়েছ উপরে আর নীচে একদিকে অভিষেক ও অন্যদিকে কাজল শেখের ছবি। এ কি অুব্রতকে ধীরে ধীরে গুরুত্বহীন করে দেওয়ার ইঙ্গিত! অন্তত নিন্দকেরা এমনটাই মনে করছেন।