নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপীতে হিন্দুত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত ঐতিহাসিক তথ্য ও প্রমাণ জমা দিতে হবে জেলাশাসকের হাতে। জ্ঞানবাপীতে এএসআই সমীক্ষা নিয়ে বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল বারাণসীর এক আদালত। সেইসঙ্গে জেলাশাসককে আদালতের নির্দেশ, সেইসমস্ত বস্তু বা তথ্য কোনও ব্যক্তির কাছে নিরাপদে জমা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপীতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালালে মসজিদ ভেঙে পড়তে পারে এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে সেই দাবি খারিজ হয়ে যায় এলাহাবাদ হাই কোর্টে। আদালতের সেই রায়ের পরই গত মাসে সেই মসজিদে সমীক্ষা শুরু করেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া(ASI)।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর অগাস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। সেই রিপোর্ট লিক হয়ে ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’ রয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়।
এরপর গত ২১শে জুলাই মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গ’ বাদে বাকি অঞ্চলের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার নির্দেশ দেয় বারাণসীর জেলা আদালত। সেই নির্দেশ মেনে রায়দানের মাত্র দু’দিন পরেই শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। কিন্তু জেলা আদালতের সেই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি।