নিউজ ডেস্ক: ‘নদীর
পাড়ে বাস, চিন্তা বারো মাস‘ বাংলার এই পুরনো প্রবাদ বাস্তবেই
ভাবাচ্ছে গঙ্গা পারের বাসিন্দাদের। প্রতি বর্ষায় প্লাবন পরিস্থিতি বাংলার
এক কঠিন বাস্তব সঙ্গী দোসর নদী ভাঙন। চলতি বছর বর্ষায় তার ব্যতিক্রম হয়নি। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতেই ভাঙন শুরু হয়েছে
মালদার মানিকচক, ভুতনি,
রতুয়া ১ নম্বর ব্লক ও কালিয়া এলাকায়। শয়ে শয়ে বাড়ি ঘর দোকান
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে।
প্রতিবছরের একই ঘটনার
পুনরাবৃত্তিতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে ওই সমস্ত এলাকার মানুষের মধ্যে। আর তার
সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে ফি বছর কেন ভাঙ্গন রোধ হয়নি। শাসক দল কেন্দ্রের দিকে বঞ্চনার
তীর ছুঁড়ে দেয় প্রতিবার অভিযোগ স্থানীয়দের। কেন্দ্রের পাল্টা বক্তব্য রাজ্য আবেদন না
করলে কাজ হবে কিভাবে? কেন্দ্রের রাজ্যের জাতাকলে পিষছে সাধারণ মানুষ। ভাঙন রোধের জন্য বারংবার দাবি তুলেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তবে ভাঙন
আটকানোর জন্য সঠিক কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। আবারও তীব্র আকারে ভাঙন
শুরু হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙন আটকাতে
দরকার সঠিক কংক্রিটের বাঁধ। কিন্তু সেই কাজে অনীহা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
গঙ্গা ভাঙ্গন
কবলিত রতুয়ার গৃহহীন মানুষদের নিয়ে এদিন জেলা শাসকের দপ্তরে শুক্রবার অভিযান করেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। জেলাশাসকের দপ্তরের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ।
পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন
বিজেপি সাংসদ। সাংসদ বলেন, “জেলা শাসক
গৃহহীন মানুষের সাথে দেখা করতে চান না। তাই গেটে পুলিশ দিয়ে
আটকে দেওয়া হয়েছে। তাই জেলা শাসকের অফিসের সামনে অবস্থান করেছি। যতক্ষন জেলা শাসক এই গৃহহীন মানুষের সাথে আমিও বসে থাকব”।