নিউজ ডেস্ক: আদালতে চত্বরে প্রকাশ্যে মহিলা আইনজীবীকে কষিয়ে চড় মারলেন পুরুষ
আইনজীবী। সাদা কালো আইন রক্ষকের পোষাকেই সঙ্গী মহিলা আইনজীবীকে আদালত চত্ত্বরে
প্রকাশ্যে শরীরীক হেনস্থা ও চড় মারাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরী হল।
আইনের রক্ষাক্ষেত্রে দাঁড়িয়েই যখন উঠছে
নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন! কাঠগড়ায় উঠছে আইনজীবীদের সামাজিক ভূমিকাও! ঘটনা বৃহস্পতিবারের। শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে আচমকা এক
পুরুষ আইনজীবী তার সঙ্গী মহিলা আইনজীবীর ওপর চড়াও হন। রীতিমতো শিলিগুড়ি
আদালত চত্বরে মহিলা সঙ্গীর সঙ্গে হেনস্থা, দাদাগিরি ও অতঃপর
সোজা সজোরে আদালতে দাঁড়িয়েই চপেটাঘাত।
আইনজীবীর সাদা কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ আইনজীবী
প্রদীপ পন্ডিত ও তার সঙ্গে থাকা আইনজীবী মহিলা সঙ্গী। আদালত চত্বরেই দাদাগিরি
ফুলিয়ে মহিলা আইনজীবীকে হেনস্থা করে এবং তারপর সজোরে চপেটাঘাত কষিয়ে দেন যাতে
স্তম্ভিত হয়ে পড়েন উপস্থিত আইনজীবী সহ আদালত চত্বরে কর্মসূত্রে আসা সাধারন জনতা। মহামান্য বিচার ব্যবস্থার শীর্ষস্থানে থাকা আদালত চত্বরে যেখানে পুলিশ
পর্যন্ত অভিযুক্তকে কোন ভাবেই ধমক চমক বা হেনস্থা করতে পারেন না। আদালতের ভেতর কোনো ব্যক্তির ওপর চড়াও, আক্রমন কিংবা ব্যক্তি বিশেষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে কিংবা প্রকাশ্যে
নিরাপত্তাহীনতা, আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের মত কোন ঘটনা ঘটে থাকলে
তৎক্ষণাৎ সংবিধান বলে বিচারপতি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিতে পারেন।
সংবিধান বলে সে ক্ষমতা ন্যস্ত রয়েছে আদালতের বিচারপতির হাতে। আদালত চত্ত্বরে
পুরুষ আইনজীবীর দ্বারা নিগ্রহের শিকার হলেন মহিলা আইনজীবী। সে সময় প্রতিবাদ করা তো দুর নীরব দর্শকের
ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন উপস্থিত আইনজীবীরা। ব্যক্তিগত ইস্যু বলে কাটিয়েও দিলেন
অনেকে।
এ বিষয়ে শিলিগুড়ি
আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অলোক ধারা বলেন,
“এমন কিছু ঘটে থাকলে
অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। তবে আমার জানা নেই আমি শহরের বাইরে
রয়েছি। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি ব্যাপারটা কি হয়েছে”। যদিও
কানাঘুষো অনেকে আবার বলছেন এ নতুন কিছু নয়, এর আগেও
আইনজীবীদের ব্যাক্তিগত কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারণ অভিযুক্তদের আদালতের বার
কক্ষে ডেকে শাসানি, ধমক চমকের মত ঘটনা ঘটেছে।