নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের
শিক্ষামন্ত্রী অপদার্থ, চটি চাটা! কটাক্ষ করলেন বিজেপির
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিয়ানো বাজানো নিয়ে তিনি বলেন, “সারা বছর গোটা বাংলাকে বাজান তিনি। এখন বিদেশে গিয়ে
বাজাচ্ছেন”।
আমার মাটি আমার দেশ এই
কর্মসুচীতে
গোটা দেশজুড়ে মাটি সংগ্রহ করছে বিজেপি। এদিন নদীয়ার কৃষ্ণনগর
সমরপল্লী এলাকায় বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে ঘুরে মাটি সংগ্রহ করেন বিজেপি নেতা সুকান্ত
মজুমদার। তার সঙ্গে জেলার প্রথম সারির নেতৃত্ব এবং কর্মী সমর্থকরা ছিলেন। এর
পর দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। এরপর ওই এলাকার একটি নিম্নবিত্ত
পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেন। ভোজনের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, দুই রকমের মাছ, শাক-সবজি
পাপড়, মিষ্টি, দই এবং চাটনি। এরপরেই
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, “করিমপুর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত একটি জাতীয় সড়ক হওয়ার প্রকল্প দীর্ঘদিন
আগেই পাস হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনীহার ফলে জমি অধিগ্রহণ করা যাচ্ছে না।
সেই কারণেই কেন্দ্র সরকারের ওই প্রকল্পের টাকা পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে পলাশীতে ঐতিহ্যবাহী সুগার মিল রয়েছে সেটাও কয়েক দশক ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
এখানেও কেন্দ্র সরকার একাধিক উদ্যোগ নেওয়া সত্বেও রাজ্য সরকার কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে
না। কৃষ্ণনগরের বেলেডাঙ্গা মোড়ে রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি ব্রিজ করার কথা ঘোষণা
করা হয়েছে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ সাধারণ মানুষ রেলগেটে আটকে থাকে। কিন্তু সেখানেও
রাজ্য সরকার জমি অধিকগ্রহণের কোন সদিচ্ছা না দেখা নয় সেই প্রকল্প মুখ তুলে পড়ে
আছে।
অন্যদিকে তিনি
উপাচার্য প্রসঙ্গে বলেন, “উপাচার্যরা যদি কেন্দ্রের
ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করেন তাহলে সমস্যা কোথায়। আসলে রাজ্যের শিক্ষা
মন্ত্রী একটা অপদার্থ এবং চটি চাটা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন
একাধিক পঞ্চায়েতে ভোট গণনার দিন প্রশাসনের অত্যাচারে যেভাবে লুট সন্ত্রাস চলেছে
তা সত্ত্বেও আমরা একাধিক পঞ্চায়েত দখল করেছি। আগামী লোকসভা ভোটে তার প্রমাণ
সাধারণ মানুষ দিয়ে দেবে। প্রশাসন যদি নিয়ম অনুযায়ী না কাজ করে তাহলে কেন্দ্র
নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কিভাবে তাদের সঠিক ভাবে কাজ করতে হয় সেটা দেখিয়ে
দেবে”। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশে গিয়ে পিয়ানো বাজানো
নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।