নিউজ ডেস্ক: প্রশ্ন
উঠেছে ছাত্রদের অনুমতি নিয়ে কি অধ্যক্ষকে নিজের ঘরে ঢুকতে হবে? কলকাতার এক মেডিক্যাল কলেজের পরিস্থিতি সেরকমই। চারদিন ধরে নিজের ঘরে
ঢুকতে পারছেন না আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ মানস
বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১১ সেপ্টেম্বর নিয়োগ হলেও শুক্রবার অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বরও
নিজের ঘরে ঢুকতে পারেননি।
ছাত্র বিক্ষোভের জেরেই
এমন অবস্থা। স্বাস্থ্য ভবন অধ্যক্ষ বদলির নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু আরজি করের
পড়ুয়াদের একাংশ সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেই পুনর্বহালের দাবি তুলে
বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এমনকী নতুন অধ্যক্ষকে ঘরে ঢুকতে দেননি। এমএসভিপির ঘরে গিয়ে
বসছেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম পরিস্থিতিতে হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজকর্মের
ক্ষতি হবে বলেই ধারণা। সূত্রের খবর বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে
ফেরত না-আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ করেছেন।
তবে আশার কথা
শুনিয়েছেন আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ
চিকিৎসক শান্তনু সেন। শুক্রবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের বলেন, “কাল (শনিবার) থেকে অধ্যক্ষ নিজের ঘরে বসবেন। অধ্যক্ষ ও সুপারের সঙ্গে
এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরাও রাজি হয়েছেন। পড়ুয়াদের কারও কারও প্রাক্তন
অধ্যক্ষের প্রতি ভাবাবেগ রয়েছে। অনেক সময়ই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এরকম হয়। এখানে
কোনও বিরোধী নেই। দু’পক্ষই তৃণমূল।” তাহলে কোনও বিবাদ নেই? সেক্ষেত্রে
শনিবার কেন শুক্রবার নয় কেন? শান্তনু সেন বলেন, “কেউ যদি এক্সট্রা সম্মান দিয়ে স্বাগত জানাতে চায় তাহলে বঞ্চিত করব কেন?
পড়ুয়ারা সবাই মিলে অধ্যক্ষ নিয়ে গিয়ে ঘরে বসাবেন।”
তবে এর মধ্যেও সংশয়
থেকে যাচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। কারণ চার দিন ধরে অধ্যক্ষ ঘরে ঢুকতে দেওয়া
হয়নি। কোন সূত্রে সমাধান হল তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই দুই গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীরা
একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু শনিবারও বিক্ষোভ হলে কী হবে? শান্তনু সেন বলেন, “জুনিয়রদের প্রতি আস্থা আছে”।