নিউজ ডেস্ক: পুজোর আর মাত্র এক মাস বাকি। সারা বছর কাজের চাপে কিংবা ব্যস্ত জীবনের মাঝে নিজের জন্য সময় পান না অনেকেই। কিন্তু পুজো মানেই ছিক ফাঁকে ফোকরে এক আধটা দিন বের করে পার্লারে ছোটেন অনেকেই। এক মাস কিংবা দুই মাস আগে থেকেই একটা দুটো দামি ফেসিয়াল করেন অনেকেই। এতে চেহারায় অল্প লাবণ্য এলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বিশেষত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থাকলে এক আধবার ফেসিয়ালে কাজ হয় না কিছুই। এর জন্য প্রয়োজন ত্বকের সমস্যা বুঝে প্রতিদিন যত্ন করা। তার জন্য অনেক রকম স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করতে হবে তার কোনো মানে নেই। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী কয়েকটি সিরাম নিয়মিত মাখলেই সারাবছর ত্বক থাকবে উজ্জ্বল।
১) হায়ালুরোনিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম
শুষ্ক ত্বকের জন্য এই সিরাম উপযুক্ত। ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে এই সিরাম খুবই ভালো। ত্বকে মসৃণ ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই অ্যাসিড।
২) ভিটামিন সি সিরাম
ত্বকের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে ভালো কাজ দেয় ভিটামিন সি। ভিটামিন সি-যুক্ত সিরাম ত্বকে ব্যবহার করলে জেল্লা ফিরবেই। তা ছাড়াও ত্বকের দাগছোপ দূর করতেও সাহায্য করে এই সিরাম।
৩) নায়াসিনামাইড সিরাম
তৈলাক্ত ত্বকের মূল সমস্যা হল ব্রণ। এই ব্রণ নিয়ন্ত্রণে নায়াসিনামাইডযুক্ত সিরাম ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যায়। তবে শুধু ব্রণ নয়, ত্বকে হওয়া ওপেন পোর্সের সমস্যা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে নায়াসিনামাইড সিরাম।
৪) গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম
ত্বকে ব্ল্যাকহেড্স বা হোয়াইটহেড্সের সমস্যা থাকলে, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করা যেতে পারে। বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করলে তা-ও রুখে দিতে পারে এই সিরাম।
৫) পেপটাইডযুক্ত সিরাম
ত্বকের তারুণ্য ভাব বজায় রাখতে প্রয়োজন কোলাজেন। এই কোলাজেন হল ত্বকের এক প্রকার প্রোটিন যা ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য় করে। বয়স বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা কমতে থাকে। পেপটাইড দেওয়া সিরাম বাইরে থেকে ত্বকে কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে।