নিউজ ডেস্ক: টিনসেল টাউনের একসময়ের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন শাহিদ কপুর এবং কারিনা কপুর খান। পর্দায় তাঁদের রসায়নে মজেছিলেন সাধারণ দর্শক এবং তাঁদের অনুরাগীরা। শুধুমাত্র বড় পর্দাতেই নয় বাস্তবিক জীবনেও তাঁদের জুটি নিয়ে উৎসাহিত ছিলেন অনুরাগীরা। ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে একাধিক ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন শাহিদ-করিনা। ‘ফিদা’, ‘মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে’, ‘৩৬ চায়না টাউন’-এর মত একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছিল জনপ্রিয় এই জুটিকে। তবে এর মধ্যে তাঁদের সব থেকে চর্চিত ছবি হলো ‘জব উই মেট’। ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত এই ছবি তুমুল জনপ্রিয় হয়। এবার এই ছবিটির সিক্যুয়েল আসতে চলেছে বলেই কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে বলিপাড়ায়। ছবিতে শাহিদ-করিনাকেই জুটি হিসেবে চাইছেন নির্মাতারা।
২০০৭ সালে সেই ছবির শুটিং চলাকালীন তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। তারপরেই সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরে তাঁদের। যদিও পেশাদারিত্বের খামতি দেখায়নি শাহিদ এবং করিনার দু’জনের কেউই। ‘জব উই মেট’ মুক্তি পাওয়ার পরে সেরা রোমান্টিক সিনেমার তকমা পেয়েছিল এই ছবি। এই ছবিতে আদিত্য এবং গীতের চরিত্রের রসায়নে মজে ছিলেন সকলে। তারপরে একসঙ্গে পর্দায় আর কখনো এই জুটিকে দেখা যায়নি। যদিও ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন এই দুই তারকা। তবে জুটি হিসেবে নয়। একসঙ্গে কোন সিনও শেয়ার করেননি তাঁরা।
চলতি বছর মুক্তি পেয়েছে অনেকগুলি ছবির সিক্যুয়েল। ২২ বছর আগে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘গদর’-এর তৃতীয় অধ্যায় ‘গদর ২’ মুক্তি পায় এই বছর। বলিউডের বক্স অফিস চাঙ্গা করতে সিক্যুয়েল ছবির দিকেই ধুঁকছেন প্রযোজকরা। ফলে ১৬ বছর আগের ‘জব উই মেট’ ছবিটির জনপ্রিয়তা থাকায় সেই ছবিটিরই সিক্যুয়েল আনতে চলেছেন প্রযোজকরা। এই ছবিটিও পরিচালনার দায়িত্বে ইমতিয়াজকেই চাইছেন নির্মাতারা। ছবির গল্প, রোমান্টিক স্ক্রিনপ্লে এবং দুর্দান্ত সব গান এখনো মনে রেখেছেন দর্শকরা। ১৬ বছর আগে এর সম্পর্কে চিড় ধরলেও এখন বরফ গলতে পারে। ফলে শাহিদ কপুর এবং করিনা কপুর খানকে ফের একসঙ্গে দেখতে পারেন দর্শকরা, যদিও এই বিষয়ে এখন অবধি কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।