নিউজ ডেস্ক: কেরলে নিপা ভাইরাস ঘিরে
ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬-এ। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জন রোগীর, বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪। জানা
গিয়েছে, নিপা ভাইরাসের এই স্ট্রেইন বাংলাদেশি
ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের হার কম হলেও, মৃত্যুহার অনেক বেশি। ফলে নিপা ভাইরাসকে ঘিরে
উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা বেড়ে চলেছে। এরইমধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর–র তরফে জানানো হল, নিপা ভাইরাস
প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া থেকেও মনোক্লোনাল
অ্যান্টিবডি আনানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নিপা ভাইরাসের এখনও কোনও স্বীকৃত চিকিৎসা নেই। সাধারণ
জ্বরের চিকিৎসাই করা হয়। সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করলে, সে ক্ষেত্রে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া
থেকে ২০ ফাইল মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি আনা হচ্ছে। আইসিএমআরের ডিজি রাজীব বহেল বলেন, ‘সংক্রমণের প্রাথমিক স্তরেই এই অ্যান্টিবডি দেওয়া প্রয়োজন।
এখনও অবধি ভারতে কাউকে নিপার চিকিৎসায় মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়নি।’
করোনার থেকেও নিপা ভাইরাস নাকি আরও বেশি ভয়ঙ্কর এবং
এর সংক্রামক প্রবণতা অনেকটাই বেশি। এই ভাইরাসে মৃত্যুহারও অনেক বেশি, প্রায় ৪০ থেকে
৭০ শতাংশ। শুক্রবারই কেরল হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নিপা সংক্রান্ত
সতর্কতা বা গাইডলাইন ইস্যু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সবরীমালায় আগত পুণ্যার্থীদের
জন্যও প্রয়োজনে সতর্কতা জারি করতে বলা হয়। নিপা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আপাতত ২৪
সেপ্টেম্বর অবধি কোঝিকোড়ের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।