নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে সামনে এল বড় আপডেট। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরেই বসতে চলেছে এই নিয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি। কমিটির প্রধান রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেই সঙ্গে এই কমিটিতে রয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, রাজ্যসভায় বিরোধী দলের প্রাক্তন নেতা গুলাম নবি আজাদ, এন কে সিং, সুভাষ কাশ্যপ, হরিশ সালভে এবং সঞ্জয় কোঠারি।
যদিও এক ভোট এক আইন লাগু করতে হলে সংবিধানেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এদিকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে কমিটিতে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনায় মুখর হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। এক অংশের বক্তব্য এক ভট এক আইন লাগু হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে আঞ্চলিক দলগুলি। তবে কেন্দ্র অবশ্য দাবি করেছে, সকলের মতকে গুরুত্ব দিয়েই এই বিষয়টি কার্যকরি করা হবে। লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা, পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন একসঙ্গে করার বিষয়টি সম্পর্কে একটি সিদ্ধান্ত নিতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই কমিটি গঠন করে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের বিপুল খরচ নিয়ে এর আগেও মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের বক্তব্য, এক দেশ এক নির্বাচন লাগু হলে বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। বস্তুত ক্রমবর্ধমান নির্বাচনী খরচও বৃদ্ধি পাচ্ছে তাল মিলিয়ে। ১৯৫১-৫২ সালের লোকসভা নির্বাচনে যেখানে খরচ হয়েছিল ১১ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৯ নির্বাচনে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০০০০ কোটি। এই তথ্য তুলে ধরেই কেন্দ্র দাবি করেছে লোকসভা আর বিধানসভা ভোট একসঙ্গে আয়োজন করার।