নিউজ ডেস্ক: শুরু থেকেই বিরোধীদের
তৈরি নয়া জোটে নানা মুনির নানা মত নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ‘ইন্ডিয়া‘
জোট নিয়ে মতবিরোধ থেকে শুরু করে আসন রফা। সবেতেই যেন সম্ন্বয়ের অভাব। এমতাবস্থায় শরদ
পওয়ারের বাড়িতে সমন্বয় কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের প্রতিনিধিরা। ফলে জোটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই এখন প্রশ্ন
তুলছে বিজেপি।
সোমবার বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে
দিল্লি রওনা দিলেন সুকান্ত মজুমদার। কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি জোটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে
বলেন, “আমরা আগেও বলেছিলাম এই ইন্ডি জোট মোটেও
প্রাসঙ্গিক নয়। কারণ নীতি এবং আদর্শ এক নয়। শুধুমাত্র
ক্ষমতার লোভে এরা একসাথে হয়েছে। অতএব এই জোট চিরস্থায়ী হতে পারেনা”।
অন্যদিকে রাজ্যে লক্ষীর ভান্ডার
প্রকল্প চালু করার পর কোষাগারের হাল আরও খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিরোধীরা।
সেই লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কায়দায় তেলেঙ্গানায় নয়া প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি
দিয়েছে কংগ্রেস। সেই প্রকল্পের নামেও খানিক এরাজ্যের অনুপ্রেরণা রয়েছে। তেলেঙ্গনায় সনিয়া গাঁধী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া মহালক্ষ্মী প্রকল্প প্রসঙ্গে এদিন সুকান্ত বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের লক্ষী
ভান্ডার ভারতবর্ষের প্রথম এই ধরনের স্কিম, এই যে ধারণাটা
তৃণমূল বাংলার মানুষের কাছে এবং সংবাদমাধ্যমে তৈরি করেছে এটা
সম্পূর্ণ ভুল। লক্ষীর ভান্ডার শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকে
মধ্যপ্রদেশের ‘লাডলি বেহেনা’ প্রকল্পে
১ কোটিরও বেশি মহিলা এই মুহূর্তে বারোশো টাকা করে পাচ্ছে প্রতিমাসে। পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা
পান ৫০০ টাকা। কেউ কেউ হাজার টাকা। তাহলে মধ্যপ্রদেশ তো আমাদের থেকে অনেক বেশি
এগিয়ে আছে”। তবে বিশেষ অধিবেশনে বিশেষ বিষয়বস্তু নিয়ে
এদিনও মুখ খোলেননি সুকান্ত।