নিউজ ডেস্ক: ‘আয়তনে ছোট হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ’। বিশেষ অধিবেশনের শুরুতে দেশবাসীর উদ্দেশে সোমবার এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ, পাঁচ দিনের সংসদের এই ‘অমৃত কাল’এ নেওয়া হতে পারে একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।
১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। অধিবেশনের সূচনার আগে নয়া ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে একাধিক ক্ষেত্রে দেশের উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জি২০ সম্মেলনে (G20 Summit) ভারতের সাফল্যের কথা বলেন তিনি। জানান, ভারতের বৈচিত্রের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন। বলেন, “আফ্রিকাকে জি২০-তে স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। আর সেটা সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়েছে। বৃহত্তর এশিয়ার আজ নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত। দেশের সাফল্যে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।”
সেইসঙ্গে এদিন বিশ্বকর্মা পুজোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিশ্বকর্মা প্রগতি, উদ্ভাবনের দেবতা। আর বর্তমান সময় আমাদের দেশের জন্য উন্নয়ন ও উদ্বাবনের সময়। ভারত আজ এক নয়া আত্মবিশ্বাস অনুভব করছে।” পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, “আগামীকাল গণেশ চতুর্থী। গণেশ বিঘ্ন দূর করেন বলে মনে করা হয়। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও কোনও বিঘ্ন আসতে দেওয়া যাবে না। তাই সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন ছোট হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছেন বলেও জানালেন মোদী।
এরপরই বিরোধীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “অভিযোগ এবং সমালোচনার জন্য অনেক সময় রয়েছে। তবে জীবনে এমন অনেক মুহূর্ত আছে যা আপনাকে উৎসাহী করে তোলে। পাঁচ দিনের এই বিশেষ অধিবেশন আমার কাছে ঠিক সেই রকম একটি মুহূর্ত। তাই সংসদের সকল সদস্যদের কাছে আমার অনুরোধ, এই অধিবেশনে যোগ দিয়ে তারা তাদের সময়ের সদ্ব্যাবহার করুক।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গণেশ পুজোর পর নতুন সংসদ ভবনে কাজ শুরু হবে। এদিন সেই প্রসঙ্গে লোকসভার ভাষণে তাঁর প্রথম সংসদ ভবনে প্রবেশের স্মৃতিচারণ করেন মোদী। বলেন, “দেশবাসীর কষ্টের দ্বারা উপার্জিত অর্থের সাহায্যে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পুরোন এই সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছিল। সুতরাং আমরা নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হলেও পুরোন এই ভবন সর্বদা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”