নিউজ ডেস্ক:
‘বিশ্ব হেরিটেজ’ তকমা পেল রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। বাউল ও লালমাটির দেশের
মুখ উজ্জ্বল হল বিশ্বমঞ্চে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের
শান্তিনিকেতন পেল বিশ্ব হেরিটেজ তকমা। পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় জায়গা হিসেবে সেই তকমা
পেল শান্তিনিকেতন। যা ভারতের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
শান্তিনিকেতন যে বিশ্ব
ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় স্থান পেতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত
আগেই মিলেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হেন্ডেলে লেখেন, আমি খুব আনন্দিত
ও গর্বিত। কবিগুরুর শহর শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কোর
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী স্থানের তকমা পেতেই
শান্তিনিকেতন জুড়ে যেন উৎসবের আমেজ। খুশি শান্তিনিকেতনের উপাচার্য থেকে শান্তিনিকেতনের
সাধারণ মানুষ।
শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা তথা বিজেপির
জাতীয় স্তরে সম্পাদক অনুপম হাজরা হেরিটেজ তকমা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন,
“এ এক গর্বের মুহুর্ত। শান্তিনিকেতন আমাদের কাছে আবেগ ও গর্বের বিষয়। হেরিটেজ তকমা
পাওয়ায় পর্যটনের ক্ষেত্রে লাভ হবে”।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মতীর্থ শান্তিনিকেতনের মুকুটে নয়া পালক পর পর দুই বছর বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতির
পক্ষে যেন উপহার। ২০২২ সালে দুর্গাপুজা কৃষ্টি সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হয়েছিল। ২০২৩
এ বিশ্বের মানচিত্রে ঐতিহ্যবাহী স্থানের তকমা পেল শান্তিনিকেতন। এবার
অপেক্ষায় মল্লরাজার দেশ মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর। সরকারিভাবে ইউনেস্কোর তরফে
শান্তিনিকেতন হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হওয়া বীরভূম বা পশ্চিমবঙ্গ
তো বটেই, পুরো ভারতের জন্য নিঃসন্দেহে একটা গর্বের মুহূর্ত।