নিউজ ডেস্ক: পুরনো সংসদ ভবনকে বিদায় জানানোর দিন আজ। শেষ দিনে সংসদ ভবনের ৭৫ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে ইতিমধ্যেই বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদী। পুরনো সংসদের সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী নেতামন্ত্রীদের স্মৃতি রোমন্থন করে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ভারতীয় গণতন্ত্রের বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সংসদ ভবনকে কেন্দ্র করে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে বল্লভাই প্যাটেল থেকে শুরু করে অটলবিহারী বাজপেয়ীর কথা। পাশাপাশি এই সংসদ ভবনেই তাঁর আমলে যে সব ঐতিহাসিক বিল আনা হয়েছে সেই বিষয়েও স্মৃতি রোমন্থন করেন মোদী।
বক্তব্যে মোদীর কথায় উঠে আসে গণতন্ত্রের জয়গান। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষও করতে দেখা যায় তাঁকে। মোদী বলেন, ভারতীয় গণতন্ত্রের ভিত এতটা শক্তিশালী বলেই একদা ৪ সংসদের দল আজ দেশ চালাচ্ছে, আর ৭০ বছর ভারত শাসন করা দল বিরোধীতায়। এক দেশ এক কর, ৩৭০ ধারা বিলোপ, গরিবদের জন্য ১০% সংরক্ষণের মতো ঐতিহাসিক বিলের সাক্ষী এই সংসদ ভবন বলে সাংসদদের স্মরণ করান মোদী। সেই সঙ্গে করোনাকালে বেতন কম নিয়ে দেশের কল্যাণে দান, ক্যান্টিনের ভর্তুকি তুলতে সাহায্য করার জন্য সাংসদেরকেও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সংসদে বিশেষ অধিবেশনের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, সোমবার সূচী অনুসারে শুরু হয়ে গেল ৫ দিনের এই বিশেষ অধিবেশন। অধিবেশন শুরুর আগে সাংসদদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল, গণেশ চতুর্থীর দিনেই নতুন সংসদ ভবনে পা রাখা হবে বলে জানান তিনি। অর্থাৎ সেই দিক থেকে আজই শেষ অধিবেশন পুরনো সংসদ ভবনে। তবে নতুন ভবনে পা রাখার পাশাপাশি এই সংক্ষিপ্ত অধিবেশনটিতে যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে তারও ইঙ্গিত মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।