বীরভূম: বিজেপির
যুবমোর্চার মণ্ডল সভাপতিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের
মাড়গ্রাম থানার তপন ও সুরফুলা গ্রামের কাছে। ধারালো অস্ত্রের
কোপে রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন সুজিত হালদার। মাথা ও
শরীরে একাধিক জায়গায় অস্ত্রের কোপ মেরেছে দুষ্কৃতীরা। তাকে
উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুজিতের বাড়ি
বীরভূমের নলহাটি থানার ভদ্রপুর গ্রামে । তিনি বীরভূমের হাঁসন দু‘নম্বর মন্ডলের বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি । রবিবার রাত্রি ন‘টা নাগাদ সুজিত হালদার রামপুরহাট থেকে মোবাইল মেরামত করে মোটরসাইকেল
চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেইসময় তপন ও সুরফুলা গ্রামের মাঝে চারজন দুষ্কৃতী মুখে
কালো কাপড় বেঁধে তার পথ আটকায়। তার অভিযোগ, “দুষ্কৃতীরা তাকে বলে বিজেপির হয়ে খুব পোষ্ট করছিস।
খুব বড় বিজেপির নেতা হয়েছিস। এই কথা বলে ধারালো অস্ত্র
দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা”।
পথচলতি মানুষজন চলে
আসায় দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে
রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
মাড়গ্রাম থানায় এই মর্মে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিজেপির দাবি সদ্য সমাপ্ত
গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজিত হালদার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজেপির পক্ষে
বিভিন্ন পোস্ট করার অভিযোগে এবং আক্রোশ
মেটাতে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে।