নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে শুরু হলো সংসদের বিশেষ অধিবেশন। ৫ দিন ব্যাপী পরিকল্পিত এই অধিবেশনে আজ, সোমবারই শেষ সত্র বসছে পুরনো সংসদ ভবনে। অধিবেশন শুরুর আগের বক্তব্য পেশের সময়ই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামীকাল মঙ্গলবারই গণেশ চতুর্থীর পবিত্র দিনে শুরু হবে ভারতের নতুন সংসদের অধিবেশন। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত অধিবেশনের সম্ভাব্য তালিকা। তালিকাটিতে রয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্যানেল সংশোধন, অ্যাডভোকেট বিল, পোস্ট অফিস বিলের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করার কথা। তা সত্ত্বেও এই বিশেষ অধিবেশনটি নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রীর রাখা বক্তব্যে কি আরও জোরালো হলো সেই সম্ভাবনা?
দেখে নেওয়া যাক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোন বক্তব্যের জন্য বিশেষ অধিবেশনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বক্তব্যে মোদী জানিয়েছেন, এটি একটি সংক্ষিপ্ত অধিবেশন। তবে এটি ঐতিহাসিক হতে চলেছে । বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যা আমাদের আরও বিশ্বাসী আর উৎসাহী হতে শেখায়। এই অধিবেশনে সেরকমই বলে আমার বিশ্বাস।’
অন্যদিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ, আগামীকাল গণেশ চতুর্থীর দিনে নতুন সংসদ ভবনে পদার্পণের সিদ্ধান্ত। এ প্রসঙ্গে মোদী বলেছেন,’ভগবান গণেশ ”বিঘ্নহর্তা” নামেও পরিচিত। এখন দেশের উন্নয়নে কোনও বাধা থাকবে না, নির্বিঘ্নে সব স্বপ্ন আর সংকল্প পরিপূর্ণ করবে ভারত।’
প্রশ্ন উঠছে, গণেশ চতুর্থীর আবহে নতুন সংসদে পা রেখে কি নতুন কোনও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে মোদী সরকার? নাকি পুরনো সংসদ ভবনের স্মৃতি থেকে নতুনে পদার্পণকেই ‘ঐতিহাসিক’ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোদী? এর উত্তরের জন্য গোটা দেশের নজর থাকবে সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনের দিকে।