নিউজ ডেস্ক: আইনে যেমন কোনও অঙ্গনওয়ারি কর্মীকে বদলির বিধান নেই, তেমনই অঙ্গনওয়ারি কর্মীকে বদলি করা যাবে না এমনটাও বলা নেই। এমনই পর্যবেক্ষণে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বদলির মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের আরও মত, আদালতের নজরে রয়েছে যে, প্রকল্পের সুবিধার জন্য স্থানীয় মহিলাকেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর ভূমিকার জন্য যদি সেখানে প্রকল্প ধাক্কা খায়, তাহলে তাঁর আচরণে যদি নিত্যদিনের এই প্রকল্পের সুবিধা শিশুদের পৌঁছিয়ে দিতে বাধার সৃষ্টি হয় তবে এমন ধরনের পরিস্থিতিগুলিতে ওই কর্মীকে বদলি করা যুক্তিসঙ্গত।
অভিযোগ ছিল, শিউলি বন্দোপাধ্যায় নামে ওই মহিলা নিজের কেন্দ্রে অনিয়মিত ছিলেন। তাঁর ব্যবহারে অতিষ্ট গ্রামবাসী বদলির জন্য একাধিক আবেদন করে। অভিযোগও জমা পড়েছিল বিস্তর। আদালতের মতে, প্রকল্পে শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য নিয়মিত দেওয়া, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকারণ, প্রসূতিদের খোঁজ রাখার মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁদের উপর রয়েছে। কিন্তু তাঁরাই যদি নিয়মিত না আসেন, শিশুরা যদি পরিমাণে কম বা নিত্যদিন আহার না পায় তবে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ধাক্কা খায়। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র চালু রাখা ও সুযোগ সুবিধা ঠিক মতে চালু রাখতে ওই কর্মীকে বদলি করা যুক্তিসঙ্গত। ওই কর্মীর বদলি সংক্রান্ত নির্দেশিকাকে পূর্বেই সিঙ্গল বেঞ্চ বহাল রেখেছিল। এবার সেই নির্দেশেই শিলমোহর দিল ডিভিশন বেঞ্চ।