নিউজ ডেস্ক: সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের প্রতীক হল শিব-পার্বতী পুত্র গণেশ। প্রতি বছর মহাআড়ম্বরে ধুমধাম করে গণেশ চতুর্থী পালিত হয় সারা দেশে। তবে এইবার চন্দ্রযানের সাফল্যকে সামনে রেখে গণেশ পুজোয় মেতেছেন দেশবাসী। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে চন্দ্রযানের থিম।
ছত্তিশগড়ের রায়পুরে দেখা মিলেছে চন্দ্রযান প্যান্ডেলের। আবার একই চিত্র ধরা পড়েছে আসামের গুয়াহাটিতে। ৩০ ফুট লম্বা গণেশ মূর্তিকে চন্দ্রযানের প্যান্ডের ভিতরে রেখে পুজো করছেন উদ্যোগতারা। অন্যদিকে দেশের দক্ষিণে গণেশ নিজেই রকেট উৎক্ষেপণ করছেন। চেন্নাইয়ের কিলকাট্টালাই এলাকায় একটি প্যান্ডেলে দেখা গিয়েছে গণেশ নিজেই ল্যাপটপ হাতে চন্দ্রযান চালাচ্ছে। ২৫ ফুটের চন্দ্রযানের রেপ্লিকা বানিয়েছেন শিল্পী সানমুঘম। তিনি জানিয়েছেন এক মাসের বেশি সময় লেগেছিল রকেটটি ডিজাইন করতে। মাটি থেকে ২৫ ফুট উপর অবধি ওঠানামাও করছে ওই রেপ্লিকা রকেটটি।
দশদিন গণেশ পুজো হওয়ার পরে বিসর্জন করা হয় প্রতিমাগুলিকে। বহুদিন ধরেই বিসর্জনের পর দূষণ রুখতে পরিবেশবান্ধব গণেশ মূর্তির প্রচার করছে সরকার। এইবার এক শিল্পী সাবান দিয়ে পরিবেশবান্ধব গণেশ মূর্তি বানিয়েছেন। গুজরাতের সুরাটের এক মহিলা শিল্পী অদিতি মিত্তল। ২৬৫৫ কেজির সাবান দিয়ে গণেশ মূর্তি বানিয়েছেন তিনি। সময় লেগেছিল সাত দিন। বিসর্জন স্বরূপ এই সাবান প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পরিবেশবান্ধব মূর্তি তৈরিতে পিছিয়ে নেই উড়িষ্যাও। ভুবনেশ্বরের একজন মিনিয়েচার শিল্পী ঈশ্বর রাও। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে তিনি পরিবেশবান্ধব মিনিয়েচার লক্ষ্মী-গণেশ-সরস্বতী মূর্তি বানিয়েছেন। আবার পুরীর সমুদ্রতটে বালি ও স্টিলের বাটি দিয়ে গণেশ মূর্তি তৈরি করেছেন বালু শিল্পী সুদর্শণ পট্টনায়ক। যা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শকরা।