নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে কানাডার ভারত-বিরোধী মনোভাব। এবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতকে ঠুকে প্রবাসী কানাডিয়ানদের ভারত ছাড়ার পরামর্শ দিল ট্রুডোর দেশ। ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঠান্ডা লড়াই ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গতকাল থেকেই অব্যাহত টানাপোড়েন। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হত্যায় ভারতের হাত রয়েছে বলে কানাডা বহিষ্কার করে সে দেশে কর্মরত এক ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে। কড়া পদক্ষেপ নিতে দেরি করেনি ভারতও। ইটের বদলা পাটকেলে দিয়ে ভারতও ৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার আদেশ দেয় কানাডার এক শীর্ষ আধিকারিককে। কিন্তু উচিত জবাব পেয়েও শিক্ষা হয়নি কানাডার। তাই আরও একবার ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিচু দেখাতে কাশ্মীর নিয়ে খোঁচা দিল।
কানাডার বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে ভারতে থাকা কানাডার মানুষজনের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘খুব প্রয়োজন না থাকলে ভারত ছাড়ুন। ভারত ভ্রমণে আপনার নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।’ পাশাপাশি কানাডার লোকজনের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ওই দেশে যাওয়ার আগে বারবার ভাবুন। শুধু তাই নয়, এরসঙ্গেই কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে খোঁচা দেয় কানাডা। বলা হয়– ‘কাশ্মীর জঙ্গি উপদ্রুত এলাকা। পঞ্জাব, গুজরাট এবং রাজস্থানের পাক সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কানাডার নাগরিকরা ভুলেও যাবেন না।’ এমনকি ভারতের সাম্প্রতিক সংবেদনশীল বিষয় মণিপুর নিয়েও টিপ্পনী করতে ছাড়েনি কানাডা।
উল্লেখ্য কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে হেয় করার চেষ্টা করলেও আসল সত্য হল, ভারতবিরোধী বহু সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পরিকল্পনা তৈরি হয়ে থাকে কানাডাতেই। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ছাড়াও ভারতবিরোধী একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনেরও নিরাপদ আশ্রয়স্থল যে ট্রুডোর দেশ, তা বহুবার জানিয়েছে ভারত। ভারতবিরোধী কার্যকলাপের বহু তথ্যপ্রমাণ কানাডাকে পাঠিয়ে ভারত বারেবারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং সন্ত্রাসবাদকে গুরুত্ব দিয়ে ভারত বিরোধী মন্তব্য করে চলেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।